অযথা আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য কিনে মজুদ রাখা থেকে বিরত থাকুন : প্রধান মন্ত্রী

721

 

মিরর বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে যতটা সম্ভব ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, বাহিরে ঘোরাঘুরি না করে যতদূর সম্ভব নিজের ঘরে থাকেন। আর নিজেকে, পরিবার ও সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত রাখুন। অযথা আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য কিনে মজুদ রাখা থেকে বিরত থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার সকালে ঢাকা-১০ আসনে জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট প্রদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একবারই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের সুযোগ পেয়েছি এবং আমরা এমন একটি সুযোগ আর পাব না। তবুও আমরা জনগণের স্বার্থ ও কল্যাণের জন্য জন্ম শতবার্ষিকীর কর্মসূচি স্থগিত করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই ভাইরাস যাতে দেশব্যাপি ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য জনসমাবেশ ঘটে এমন কর্মসূচিও আমরা বাতিল করবো। অন্যের জীবন বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া ঠিক নয় এবং আমি আশা করছি আপনারা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য শস্যের মজুদ রয়েছে। অযথা আতঙ্কিত হয়ে বেশি করে পণ্য কিনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো গর্হিত কাজ। সবাইকে এই ধরণের অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ভোক্তারা অতিরিক্ত নিত্যপণ্য কিনলে বাজারে চাপ সৃষ্টি হয়।’

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত করতে না পারে সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং জনগণকে নজরদারি বাড়াতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করছি যে, আতঙ্কিত হয়ে কিছু লোক অতিরিক্ত মাত্রায় খাদ্যদ্রব্য কিনে সংরক্ষণ করছে। তবে, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই যে, আমাদের কোন খাদ্য সমস্যা নেই। আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। তাই, আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য কেনার দরকার নেই।’

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ইতিমধ্যে এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রী, অর্থ সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথে বৈঠক করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে আগামী এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য কেনার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। সরকারি গুদামগুলিতে সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন গম ছাড়াও ১৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এর পাশাপাশি, বেসরকারি রাইস মিলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশস্য রয়েছে। তাই আমি সকলকে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু খাদ্যদ্রব্য কিনতে অনুরোধ জানাই।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন ও এই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।