অল্পসময়ে নারায়ণগঞ্জকে আপন করে নিয়েছেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা

261

কামাল উদ্দিন সুমন : অল্পসময়ে নারায়ণগঞ্জকে আপন করে নিয়েছেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা। গত ১৪ জানুয়ারি তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসাকের দায়িত্ব গ্রহন করেন। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি রাজবাড়ি জেলা থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জে বদলী করা হয়। নারায়ণগঞ্জে এসেই ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিঞা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন। নারায়ণগঞ্জে প্রধান সমস্যা যানজট নিরসনে উদ্যোগী হয়ে উঠেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখা ও  আইনের শাসন নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেন।

নারায়ণগঞ্জবাসী বলছেন, অল্প সময়ে  নারায়ণগঞ্জকে আপন করে নিয়েছেন ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
এদিকে ছদ্মবেশে রাতের আঁধারে নারায়ণগঞ্জ শহর পরিদর্শন করে বিভিন্ন সমস্যা নিজ চোখে দেখলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে শহরকে বসবাসের উপযোগী করার পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা নিয়ে নানা পরিকল্পনা রয়েছে তার। পর্যায়ক্রমে তিনি এসব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটাবেন বলে জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গত মাসের মাঝামাঝিতে তিনি নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হোন। শহরের যানজট, হকারদের দখলে ফুটপাত, বেহাল সড়ক থেকে শুরু করে হাজারো সমস্যাসহ বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনায় শহর অনেকটাই অচল হয়ে পড়েছিল। দায়িত্ব নিয়ে শুরুতেই তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে শহরের বিভিন্ন সমস্যা ও তা সমাধান করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রথমেই তিনি যানজট নিরসনে কাজ করা শুরু করেন। এরই মধ্যে শহরে অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সড়কে অবৈধ পার্কিং ও হকার উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন। আগামীতে ফুটপাত হকারমুক্ত করে তা পথচারীদের চলাচলের উপযোগী করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।
এ ছাড়াও জেলার যেসব স্থানে উন্নয়ন কাজ আটকে রয়েছে তা দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করার চাপ দিচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত জটিলতা ও অবৈধ স্থাপনার জন্য আটকে থাকা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাদঁমারী থেকে চাষাঢ়া মোড়ের সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে গতি ফিরেছে। আগামী সপ্তাহে চাঁদমারী এলাকায় সরকারি জায়গায় নির্মিত মসজিদটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হবে। এরপর নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবও সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হবে। সড়কটির এই অংশের কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য সব ধরনের তদারকি জেলা প্রশাসক করছেন। এর আগে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডটি ৬ লেনে উন্নীতকরণ করা হলেও চাঁদমারী থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের কাজ বাকি ছিল। এর ফলে সড়ক প্রশস্তকরণের সুফল পুরোপুরি পায়নি নগরবাসী। পাশাপাশি এই অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতো।
এর আগে জেলা প্রশাসক হিসেবে নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব নিয়েই অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকা রেলক্রসিংগুলো সংস্কার করার পাশাপাশি আগামী ২৬ মার্চ থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। শুরুতেই এক বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে চলে যাবার আগে এমন কিছু করে যেতে চাই যে বিদায়বেলা বলতে পারি এই জেলার জন্য কিছু করে গেছি। দেশের প্রতিটি জেলাতেই কিছু সাধারণ সমস্যা রয়েছে। নারায়ণগঞ্জও এর থেকে ব্যতিক্রম নয়। তবে এই শহরকে যানজটমুক্ত, জনবান্ধব ফুটপাত এবং শীতলক্ষ্যা নদীর দূষণরোধে সবার আগে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা যখন কোনো সমস্যা সমাধানে কাজ করি তখন সমস্যাটি সমাধানের জন্যই কাজ করি। হয়তো অনেক সময় অনেক কিছু করা হয়ে উঠে না। তিনি সুন্দর নারায়ণগঞ্জ উপহার দিতে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাতের আঁধারে জেলা প্রশাসকের ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টির প্রশংসা করে নগরবাসীর বলেন, এমন জেলা প্রশাসকই নারায়ণগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, নারায়ণগঞ্জ তিনি জঞ্জালমুক্ত করে শহরকে বসবাসের উপযোগী করে তুলবেন। যেনো নারায়ণগঞ্জবাসী সবসময় তার কথা স্মরণে রাখে।
যোগদান করেই  দাঁড়ালেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কলেজ ছাত্রের পাশে :
সারাদেশে ‘মানবিক ডিসি পরিচিত মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক হিসাবে যোগদানের দুইদিনের মাথায় নারায়ণগঞ্জবাসীর নজর কাড়লেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এক কলেজ ছাত্রের পাশে দ্রুততার সাথে দাড়িয়ে।
মুন্সিগঞ্জ জেলার গজাড়িয়া থানার চর ভাউশিয়া গ্রামের কৃষক দিল মুহাম্মাদ তাঁর এক বছরের শিশু সন্তান সোহাগকে রেখে মারা যান। পরে এতিম সোহাগের আশ্রয় হয় নারায়ণগঞ্জে সরকার পরিচালিত এতিমখানা শিশু পরিবারে। সেখানে পড়ালেখা শেষ করে ভর্তি হয় সালে ভর্তি হন মুসলিম নগর কে এম হাই স্কুলে। কিন্তু অষ্টম শ্রেণীতে থাকাকালীন দুরাগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় সোহাগ। চোখের রেটিনা আস্তে আস্তে শুকাতে থাকে। দৃষ্টি শক্তি বিলোপ হওয়ার পথে। দিনে সে মাত্র ২৫%   দৃষ্টি শক্তি পায়। কিন্তু সন্ধ্যা হলেই পুরপুরি দৃষ্টিহীন হয়ে যায়।
অনেক কষ্টে ২০১৯ সালে এসএসসি পাশ করে ভর্তি হয় সরকারী কদম রুসুল কলেজে। ২০২১ সালে এইসএসসি পাশ করে রাজধানীর মিরপুর সরকারী বাংলা কলেজে সমাজ কর্ম বিভাগে অনার্সে ভর্তি হয়।
একদিনে চরম দ্রারিদ্রতা অন্যদিকে ক্রমশ দৃষ্টি শক্তি বিলোপ হওয়া তাঁর স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাড়ায়।
অনেক আশা নিয়ে প্রথমে ২০২৩ সালে এবং পরে ২০২৪ সালে তৎকালীন  নারায়ানগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করে একটি এন্ডয়েড ফোনের জন্য।
কিন্তু দিন যায়,মাস যায়। শুধু আশ্বাসই মিলে। কিন্তু কর্মকর্তারা আর  দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সোহাগের জন্য সামান্য একটা এন্ডয়েড ফোন দিয়েও সাহায্য করতে পারেন না।
এক পর্যায়ে অনেক দিন ঘোরাঘুরির পরে নারায়নগঞ্জ জেলার তৎকালীন ডিসি  মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ মেলে সোহাগের। সোহাগের শিক্ষক মিরপুর সরকারী বাংলা কলেজের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ডিসি  মাহমুদুল হকের পুর্ব পরিচিত হওয়ায় তিনিও ডিসিকে অনুরোধ করেন সোহাগের পাশে দাঁড়ানোর। অনেক আশাবাদী হয়ে পড়েন সোহাগ। কিন্তু এবারো হতাশ হতে হয় তাকে।
ডিসি জাহিদুলকে ফোন করে বিস্তারিত জানালে তাকে তৎক্ষণাৎ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসার অনুরোধ করেন স্বয়ং ডিসি।
সারাদেশে ‘মানবিক ডিসি হিসেবে পরিচিত জাহিদুল ইসলাম জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ সোহাইলকেও আসার নির্দেশ দেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলার স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে নির্ধারিত মতবিনিময় সভা শেষ করেই সোহাগের হাতে তুলে দেন তাঁর স্বপ্নের এন্ডয়েড ফোন।
ফোনটি হাতে পেয়ে আবেগ আপ্লূত হয়ে পড়েন এই কলেজ ছাত্র।
তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে যেয়ে বলেন,আমি ভাবিনি নতুন ডিসি স্যার গতকাল যোগদান করে আজই আমাকে একটা এন্ডয়েড ফোন কিনে দিবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সোহাগ আরো বলেন, আমি এখন আমার যে কোন বই এন্ডয়েড ফোন দিয়ে ছবি তুলে সেটাকে মোবাইল এপসের মাধ্যমে ভয়েস হিসাবে শুনতে পারবো। এতে আমার পড়ালেখা মুকস্থ করা অনেক সহজ হবে। এছাড়া আমার  দৈনন্দিন  কাজগুলো বিশেষ করে রাতে অনেক সহজ হবে।
জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ সোহাইল এই বিষয়ে বলেন,নতুন ডিসি স্যার যোগাদান করেই নির্দেশ দিয়েছেন যেন প্রতিবন্ধী বিষয়ক কোন কাজ এক দিনের জন্যও পেন্ডিং না থাকে।
প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে দায়িত্বে সামান্য গাফলাতিও সহ্য করা হবে না বলে কঠোরভাবে স্মরণ করে দিয়েছেন ডিসি স্যার  এই সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা), মো. মাশফাকুর রহমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), মো. আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মো. সাকিব-আল-রাব্বি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), মো. জাহিদ হাসান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রমুখ।
পেছনের খবর :
গত ৯ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপ-সচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত বছরের ২ নভেম্বর জাহিদুল ইসলাম রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। একই বছরের ৩০ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
রাজবাড়ী জেলায় যোগ দিয়েই দ্রুতই জনবান্ধব ডিসি হিসেবে সুনাম অর্জন করেন জাহিদুল ইসলাম। ডিসি জাহিদুল ইসলাম হয়ে উঠেছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বজন এবং আহতদের একান্ত আস্থার ঠিকানা। তাদের সবার শেষ ভরসার স্থল হয়ে উঠেছিলেন এই জেলা প্রশাসক। রাজবাড়ী জেলার শহীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেন যোগ দেওয়ার দুই দিনের মাথায়। আহতদের তার অফিসে ডেকেও তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করেন। দ্রুতই সারা দেশে মানবিক ডিসি হিসাবে পরিচিত লাভ করেন জাহিদুল ইসলাম।
মানবিক জেলা প্রশাসক হিসেবে পরিচিত পাওয়া ডিসি জাহিদুল ইসলাম দুস্থদের বাড়িতে বাড়িতে গভীর রাতে নিজে গিয়ে উপহার দেন শীতের কম্বল। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় চার হাজার পেঁয়াজ চাষিদের পাশে দাঁড়ান অতি দ্রুততার সঙ্গে। রাজবাড়ী জেলা কারাগারে বন্দিদের পুনর্বাসনের জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেন জনবান্ধব এই কর্মকর্তা।
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় দৌলতদিয়া এলাকায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম যৌনপল্লীর শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেও সবার নজড় কাড়েন। সেভ দ্য চিলড্রেনের অর্থায়নে কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থা (কেকেএস) নামের একটি বেসরকারি এনজিও পরিচালিত স্কুলের কার্যক্রম ডিসেম্বর মাসে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দাতা সংস্থা। যৌনপল্লীর শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় সংশ্লিষ্টদের মন্ত্রণালয় যোগাযোগ করে স্কুলের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করেন সদা তৎপর এই সরকারি কর্মকর্তা।
জাহিদুল ইসলাম ১৯৭৯ সালের অক্টোবর মাসে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মা-বাবার তিন সন্তানের মধ্যে তিনি হচ্ছেন সবচেয়ে বড়। ছাত্র জীবন থেকেই মেধার পরিচয় দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন জাহিদুল। সেখানে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করে পরবর্তী সময়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বৃত্তির আওতায় আন্তর্জাতিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় কৃতিত্বের সঙ্গে যুক্তরাজ্য থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০৬ সালে ২৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে লালমনিরহাট জেলায় যোগদান করেন জাহিদুল ইসলাম। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী ও মৌলভীবাজারের সদরে উপজেলায়ও দায়িত্ব পালন করেন। পদোন্নতি পেয়ে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে এবং নোয়াখালী জেলার চাটখিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কর্মদক্ষতার স্মারক হিসেবে কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাকালীন ২০১৫ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি