মিরর বাংলাদেশ : জাতীয় পার্টি বৈষম্যের শিকার বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তিনি বলেন, আমরা অপরাধ করিনি, আমাদের অপরাধী করার অপচেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে আমাদের ব্র্যান্ডিং করার অপচেষ্টা চলছে।
জাপা চেয়ারম্যান দাবী করেন , ‘ছাত্রদের আন্দোলনে আমরা সমর্থন দিয়েছি, আমাদের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছে, সেই আন্দোলনের হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীদের আসামি করা হচ্ছে। এই অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না। আমরা রাজপথে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ করব। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের সঙ্গে অবিচার হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের এক সভায় এসব কথা বলেন জিএম কাদের।
জুলাইয়ে আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক করা হলে মুক্তির দাবি তোলার কথা জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে যখন গুলি চালানো হলো, আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছি আমরা। রাজনীতিবিদদের মধ্যে সবার আগে রংপুরে গিয়ে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছি আমি। শহীদ আবু সাঈদের শোকার্ত মা-বাবাকে সান্ত্বনা দিয়েছি। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ছাত্র আন্দোলনের সাফল্য নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একটি চক্র জাতীয় পার্টিকে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষের দল হিসেবে চিহ্নিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’ আমরা অপরাধ করিনি, আমাদের অপরাধী করার অপচেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে আমাদের ব্র্যান্ডিং করার অপচেষ্টা চলছে।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যেতে জাতীয় পার্টিকে বাধ্য করা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গণমাধ্যমসহ সবার সামনে পরিষ্কার করে বলেছি, ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা যেতে চাইনি, আমাদের জোর করে নির্বাচনে নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ ও ২০২৪ সালে নির্বাচনে যেতে বাধ্য হয়েছে জাতীয় পার্টি। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ দেশের সকল রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। আবার, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও উপজেলা পরিষদ ও মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি।’
আওয়ামী লীগের নির্বাচন ব্যবস্থায় অংশ নেওয়ার কারণে কাউকে স্বৈরাচারের দোসর বলা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচন ব্যবস্থায় বিএনপিসহ সকল দলই অংশ নিয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্যরা চার বছর সংসদে ভূমিকা রেখেছেন। আমরা মন্ত্রী বা এমপি হওয়ার জন্য রাজনীতি করি না। জনগণের পক্ষে কাজ করাই আমাদের রাজনীতির মুখ্য উদ্দেশ্য।
আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টিকে ব্র্যান্ডিং করার অপচেষ্টা চলছে : জিএম কাদের
স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় পার্টি বৈষম্যের শিকার বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তিনি বলেন, আমরা অপরাধ করিনি, আমাদের অপরাধী করার অপচেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে আমাদের ব্র্যান্ডিং করার অপচেষ্টা চলছে।
জাপা চেয়ারম্যান দাবী করেন , ‘ছাত্রদের আন্দোলনে আমরা সমর্থন দিয়েছি, আমাদের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছে, সেই আন্দোলনের হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীদের আসামি করা হচ্ছে। এই অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না। আমরা রাজপথে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ করব। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের সঙ্গে অবিচার হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের এক সভায় এসব কথা বলেন জিএম কাদের।
জুলাইয়ে আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক করা হলে মুক্তির দাবি তোলার কথা জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে যখন গুলি চালানো হলো, আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছি আমরা। রাজনীতিবিদদের মধ্যে সবার আগে রংপুরে গিয়ে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছি আমি। শহীদ আবু সাঈদের শোকার্ত মা-বাবাকে সান্ত্বনা দিয়েছি। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ছাত্র আন্দোলনের সাফল্য নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একটি চক্র জাতীয় পার্টিকে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষের দল হিসেবে চিহ্নিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’ আমরা অপরাধ করিনি, আমাদের অপরাধী করার অপচেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে আমাদের ব্র্যান্ডিং করার অপচেষ্টা চলছে।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যেতে জাতীয় পার্টিকে বাধ্য করা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গণমাধ্যমসহ সবার সামনে পরিষ্কার করে বলেছি, ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা যেতে চাইনি, আমাদের জোর করে নির্বাচনে নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ ও ২০২৪ সালে নির্বাচনে যেতে বাধ্য হয়েছে জাতীয় পার্টি। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ দেশের সকল রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। আবার, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও উপজেলা পরিষদ ও মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি।’
আওয়ামী লীগের নির্বাচন ব্যবস্থায় অংশ নেওয়ার কারণে কাউকে স্বৈরাচারের দোসর বলা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচন ব্যবস্থায় বিএনপিসহ সকল দলই অংশ নিয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্যরা চার বছর সংসদে ভূমিকা রেখেছেন। আমরা মন্ত্রী বা এমপি হওয়ার জন্য রাজনীতি করি না। জনগণের পক্ষে কাজ করাই আমাদের রাজনীতির মুখ্য উদ্দেশ্য।