আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে : প্রধানমন্ত্রী

216
  • ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামীলীগের  জনসভা 

    *  অনেকে এখনও সরকার পতনের আন্দোলন করেন *  দেশের প্রতিটি অর্জনে আওয়ামী লীগের অবদান রয়েছে

মিরর বাংলাদেশে : আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাওয়ায় অনেক নেতা হারিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের প্রতিটি পদক্ষেপের ফলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান সরকারপ্রধান। এ সময় তিনি তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের বিবরণ তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে। আজ বাঙালির যতটুকু অর্জন, এই অর্জনগুলো আওয়ামী লীগের দ্বারাই হয়েছে।
রোববার ঐতিহাসিক সোহরাওয়াদী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হন শেখ হাসিনা। পরে দলীয় সভাপতি জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় । জাতীয় সঙ্গীত শেষে আওয়ামী লীগ প্রধান বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং আসন গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বারবার আঘাত করেও আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেওয়া যায়নি। ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে। কারণ আওয়ামী লীগের শক্তি দেশের সাধারণ জনগণ। তৃণমূলের কর্মীরা, সৈনিকরা। তারা কখনো মাথানত করে না। বিভিন্ন সময় নেতারা অনেকে ভুল করেছেন। আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গেছেন। যেসব নেতা ভুল করেছেন, তারা বোঝেননি। চলে যাওয়ায় হারিয়ে গেছেন। হ্যাঁ, অনেকে ফিরে এসেছেন, আমরা গ্রহণ করেছি। আবার অনেকে এখনও সরকার পতনের আন্দোলন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার, ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ঘোষণা, মাতৃভাষা সংরক্ষণে প্রকল্প গ্রহণ, ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি আদায় আওয়ামী লীগই এনে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি পদক্ষেপের ফলে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে। আজ বাংলাদেশের যত অর্জন, সেগুলো আওয়ামী লীগের দ্বারাই। কিন্তু বারবার এই আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগই গণমানুষের সংগঠন। আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন।
’শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটা অর্জনে আওয়ামী লীগের অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারুক সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
তিনি বলেছেন, ‘বারবার আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। বারবার আঘাতের পরও ফিনিক্স পাখির মতো আবারও জেগে উঠেছে। আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন। আওয়ামী লীগের শক্তি হচ্ছে এ দেশের তৃণমূলের জনগণ ও দলের নেতাকর্মীরা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের প্রতিটি অর্জনে আওয়ামী লীগের অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারুক সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছেই তো বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। যা আমরা প্রমাণ করেছি। ৭৫-এর আগস্টের পর বারবার ক্ষমতা বদল হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতা বদল হয়েছে অস্ত্রের মাধ্যমে এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, মানুষের মৌলিক অধিকার ছিল না। মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তনই তারা করতে পারেনি।’
আওয়ামী লীগ থেকে যেসব নেতা বিভিন্ন সময় দল ছেড়ে গেছেন, তারা হারিয়ে গেছেন উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে দলের থেকে নিজেকে বড় মনে করে দল ছেড়ে গিয়েছেন। তারা ভুল করেছেন। যেসব নেতারা ভুল করেছিলেন তারা ভুলে গিয়েছিলেন যে তারা আলোকিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থেকেছিলেন বলেই। এখান থেকে চলে যাওয়ার পর তারা আর জ্বলেননি। নিভে গেছেন।’
এদেশের প্রতিটি অর্জনের পেছনে আওয়ামী লীগের অবদান থাকলেও বারবার দলটির ওপর আঘাত এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে এসব আঘাত আওয়ামী লীগকে কোনো ক্ষতি করতে পারেনি বলে মনে করেন তিনি। আওয়ামী লীগ বারবার ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠে বলে জানান সরকার ও দলীয় প্রধান।
বাঙালির প্রতিটি অর্জনে আওয়ামী লীগ ওৎপ্রোতভাবে জড়িত জানিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, ‘বারবার এই দলের প্রতি আঘাত এসেছে, বারবার এই দলকে খন্ড-বিখন্ড করার চেষ্টা হয়েছে; বারবার দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আইয়ুব খান থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, বারবার এইভাবে আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন। তাই বারবার আঘাত এসেও আওয়ামী লীগের ক্ষতি করতে পারেনি। ফিনিক্স পাখির মতো আওয়ামী লীগ জেগে উঠেছে।’
আওয়ামী লীগ থেকে যেসব নেতা বিভিন্ন সময় দল ছেড়ে গেছেন, তারা হারিয়ে গেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে দলের থেকে নিজেকে বড় মনে করে দল ছেড়ে গিয়েছেন। তারা ভুল করেছেন। যেসব নেতারা ভুল করেছিলেন তারা ভুলে গিয়েছিলেন যে, তারা আলোকিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থেকেছিলেন বলেই। এখান থেকে চলে যাওয়ার পর তারা আর জ্বলেননি। নিভে গেছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুজিব আদর্শের সৈনিকরা কখনো পরাভব মানে না।’ এ সময় তিনি সংগঠন মজবুত করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি তাগিদ দেন। সংগঠন মজবুত থাকলে কেউ আওয়ামী লীগকে দমাতে পারবে না বলে মনে করেন তিনি।
জিএম কাদের-ইনু-মেননের যোগদান
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছেন জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। রবিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় দুপুর আড়াইটার দিকে অতিথি গ্যালারীতে উপস্থিত হয়েছেন।
এছাড়া আলোচনা সভার অনুষ্ঠানে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, ওয়াকাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুর বশর মাইজভান্ডারিসহ ১৪ দলের অন্যান্য দলের নেতাদের দেখা যায়। ******