আদালত পিছিয়ে থাকলে রাষ্ট্রও পিছিয়ে থাকবে : প্রধান বিচারপতি

193

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক। বারের সহযোগিতা ছাড়া বেঞ্চ চলতে পারে না। আবার বেঞ্চের সহযোগিতা ছাড়া বার চলতো পারে না। আদালত পিছিয়ে থাকলে রাষ্ট্রও পিছিয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, এত বাধার পরেও পদ্মা সেতু হয়েছে। সংবাদপত্রে দেখলাম বিশ্ব ব্যাংকে পদ্মা সেতুর একটি ছবি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। আমরা চাই জুডিশিয়ারিও এসকলের সাথে তাল মিলিয়ে চলবে।
গতকাল বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ১৯৭১ সালের পর ৭২ সালে এ দেশে ১৫২টি প্রেসিডেনশিয়াল রুল জারি হয়। এটা এত দ্রæত সম্ভব হয়েছে কারণ সেই সংসদে আইনজীবীদের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
তিনি বলেন,আমি চাই আপনারা পার্লামেন্টে আসুন এবং জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করুন। এই সংসদে যদি একশ আইনজীবী থাকত তাহলে সংসদ কত সুন্দর হত। আমি আশা করবো আপনারা পার্লামেন্টে যাবেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি যখন লইয়ারদের সংস্পর্শে আসি তখন আমার মনে হয় আমি তাদেরই একজন। আমি দীর্ঘদিন এই পেশায় ছিলাম। সিনিয়র আইনজীবীদের দেখলে বা কথা বললে মনে হয় তাদের সাথে যদি আরও মিশতে পারতাম আরও অনেক শিখতে পারতাম। তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক শেখার আছে। বিশেষ করে যারা এখানে জুনিয়র আছেন তাদের।
তিনি আরো বলেন, কোন একটি পাখা দুর্বল হলে পাখি উড়তে পারবে না। যারা আদালতের বারান্দায় ঘুরে সঠিক বিচার পায় না তাদের বিচার নিশ্চিত করা শুধু সরকারের নয়, এটা আইনজীবীদেরও দায়িত্ব। কত মানুষ এই আদালতে ঘুরে। তারা যদি বলে দেশে আইনের বিচার নেই তাহলে আমরা কষ্ট পাবো। তাই আসুন আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েলসহ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মঞ্জুরুল হাফিজ ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল প্রমুখ।
পরে প্রধান বিচারপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করেন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।