মিরর ডেস্ক :
তিউনিসিয়ায় ২০১০ সালে সাধারণ এক বিক্ষোভের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল আরববসন্ত। মোহাম্মদ বোআজিজি নামে ২৬ বছরের এক হকারের আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে এর সূত্রপাত হয়েছিল। এরপর এর ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো মধ্যপ্রাচ্যে। বেশ কয়েকটি দেশের নেতৃত্ব পর্যন্ত পাল্টে গিয়েছিল সে সময়। ওই ঘটনার এক দশক পর করোনা মহামারীর মধ্যেই পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে একই রকমের আরেকটি আন্দোলনের। খবর বিবিসি, সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমস ও গ্লোবাল টাইমসের।
পুলিশের হাতে ওই কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানের মৃত্যু নিয়ে যে তুমুল সহিংস বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে, তার নজির নিকট অতীতে আর নেই। ১৯৬৮ সালে মার্টিন লুথার কিংয়ের হত্যাকাণ্ডের পর বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এমন জনরোষ আমেরিকাতে আর চোখে পড়েনি। এ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের চরম সমালোচনা করছে দেশটির প্রধান দুই বৈরী দেশÑ চীন ও ইরান। যুক্তরাষ্ট্রে এই বিক্ষোভ নিয়ে চীনের সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে। সেখানে ইতোমধ্যেই এ আন্দোলনকে নামকরণ করা হয়েছে আমেরিকান স্প্রিং বা আমেরিকান বসন্ত নামে। চীনের সরকার সমর্থিত পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস বলছে, চীনা সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম উইবোতে যুক্তরাষ্ট্রে জনবিক্ষোভ নিয়ে দুটো হ্যাশট্যাগ # আমেরিকান স্প্রিং এবং # ইউএস রায়টে কোটি কোটি মানুষ কথা বলছে, শেয়ার করছে।
পত্রিকাটি বলছে, আমেরিকার ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ বা দ্বৈতনীতি মানুষের চোখের সামনে পরিষ্কার হয়ে গেছে। চীনা এই পত্রিকা বলছে, হংকংয়ে বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমেরিকার ঘুম নেই, কিন্তু নিজের দেশের পুলিশ মানুষের ওপর নির্যাতন করছে। এ বিষয়ে চীনা সরকারও কথা বলতে শুরু করেছে। গত সোমবার বেইজিংয়ে চীনা পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনও জীবন, তাদের মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দিতে হবে।’
অন্য দিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি তার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আমেরিকার সরকার এবং পুলিশকে বলছিÑ নিজেদের জনগণের ওপর অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ করুন, তাদের শ্বাস নিতে দিন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের ওয়াশিংটন সংবাদদাতা তার এক রিপোর্টে লিখেছেন, গত রোববার রাতে হোয়াইট হাউজের বাইরে বিক্ষোভ সমাবেশে অনেকে মুখে ‘আমেরিকান স্প্রিং’ শব্দটি শুনেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে পুলিশের নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে দেশটি জুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি সে বিক্ষোভ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এ দিকে ফ্লয়েডের মৃত্যুর ব্যাপারে পরিচালিত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার মৃত্যুটি প্রকৃত অর্থেই একটি হত্যাকাণ্ড।
হত্যার শিকার ফ্লয়েড : ময়নাতদন্ত রিপোর্ট : আনুষ্ঠানিক ময়নাতদন্তে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ (হোমিসাইড) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, পুলিশি নির্যাতনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আফ্রিকান আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড। পাশাপাশি ফ্লয়েডের পরিবারের উদ্যোগে করা আরেক বেসরকারি ময়নাতদন্তেও একই রকম ফল এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, পুলিশ ঘাড় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পুলিশ আটক করলে ৪৬ বছরের ফ্লয়েড হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের গলায় চাপ বা আটকে ধরার কারণে দম বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়। ময়নাতদন্তে অবশ্য ফ্লয়েডের হৃদরোগ ও সাম্প্রতিক মাদক গ্রহণের প্রমাণও পাওয়া গেছে।
অন্য দিকে ফ্লয়েডের পরিবারের পক্ষ থেকে করা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় পুলিশ গলা ও ঘাড়ে চাপ প্রয়োগ করায় ফ্লয়েড অক্সিজেন চলাচলের বাধাজনিত অ্যাসফিক্সিয়ায় আক্রান্ত হন। তার পরিবারের নিযুক্ত আইনজীবী বেঞ্জামিন ক্রাম্প বলেন, পুলিশ ডেরেক চাওভিন যদি ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে ওইভাবে চাপা না দিতেন তাহলে ফ্লয়েড বেঁচে থাকতেন।
বিক্ষোভ দমাতে সেনা মোতায়েনের হুমকি ট্রাম্পের : জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অস্থিরতা থামাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে সেনা মোতায়েন করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্য রাজ্য ও শহরে সেনা মোতায়েনের হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি বিভিন্ন শহর ও রাজ্য কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ দমাতে ব্যর্থ হয় এবং নাগরিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে তিনি সেখানে সেনা মোতায়েন করবেন এবং দ্রুত সমস্যার সমাধান করবেন।
হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘দাঙ্গা, লুটপাট, ভাঙচুর, হামলা এবং সম্পত্তির অযথা ধ্বংস বন্ধে হাজার হাজার ও ভারী সশস্ত্র সৈন্য, সামরিক কর্মী এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের পাঠাচ্ছি।’ তবে ট্রাম্পের এ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন সিনিয়র ডেমোক্র্যাট, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন জনগণের বিরুদ্ধে মার্কিন সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পকে চুপ থাকার পরামর্শ পুলিশ প্রধানের : এ দিকে গঠনমূলক কোনো কথা বলতে না পারলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেছেন টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হৌস্টন কাউন্টির পুলিশের প্রধান আর্ট আচেভেদো। আর্ট আচেভেদো নামে ওই পুলিশ কর্মকর্তা সোমবার বলেন, ‘কাউন্টির পুলিশ প্রধান হিসেবে আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বলছি, আপনার যদি গঠনমূলক কোনো কিছু বলার না থাকে, তাহলে অন্তত মুখটা বন্ধ রাখুন।’
সপ্তম দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত : গতকাল মঙ্গলবার মিনিয়াপোলিসে সপ্তম দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। মিনিয়াপোলিস থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য ও শহরে। শুরু হয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কমপক্ষে ২৫টি শহরে দেয়া হয় কারফিউ। তারপরও বিক্ষোভ না থেমে উল্টো ছড়িয়ে পড়েছে ১৪০টি শহরে।
শিকাগোতে সহিংসতায় নিহত ২, গ্রেফতার ৬০ : যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের সময় সহিংসতায় শিকাগোর সিসেরো শহরতলিতে অন্তত দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম এনবিসি শিকাগো এ তথ্য জানায়। এর আগের দিন শহরজুড়ে দোকানপাটে লুটতরাজের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিভিন্ন জায়গায় লুটেরাদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ-প্রতিবাদ, সমালোচনা : যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে পুলিশের নিপীড়নে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে কয়েক দিন ধরেই চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। এসব কর্মসূচিতে অংশ নেয়া হাজার হাজার মানুষ কেবল মার্কিন বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থনই জানাচ্ছেন না, নিজেদের দেশের বর্ণবাদ ও নানা ধরনের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ ব্যক্ত করছেন বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বার্লিন, লন্ডন, প্যারিস, ভ্যাঙ্কুবার, ব্রিটিশ কলম্বিয়ার রাস্তা থেকে আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রাজধানীগুলোতেও সমালোচনার ঢেউ আছড়ে পড়ছে। লড়াই-সঙ্ঘাতে বিপর্যস্ত সিরিয়ার একাংশে শিল্পীরা এঁকেছেন বর্ণবাদবিরোধী ম্যুরাল। চিলি আর লেবাননের আন্দোলনকারীরা মার্কিন বিক্ষোভকারীদের পুলিশি নির্যাতনের হাত থেকে সুরক্ষার নানান পরামর্শ দিচ্ছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেয়া বিধিনিষেধ অবজ্ঞা করেই লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চারপাশজুড়ে বিক্ষোভ দেখায় কয়েক হাজার মানুষ। তারা ফ্লয়েডের নাম, ‘আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না, ও ‘বিচার নেই, শান্তি নেই’ স্লোগান দেয়। টরন্টোতে বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ অবসান দাবি করে বিক্ষোভ করেন।
বার্লিনে কয়েকহাজার বিক্ষোভকারী যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে। মন্ট্রিয়লে রোববারের বিক্ষোভেকে পুলিশ ‘অবৈধ’ অ্যাখ্যা দেয়ার পর সেটি সহিংসতায় রূপ নেয়। এ দিকে গত সোমবার এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র আইন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিক্ষোভের সাথে সংশ্লিষ্ট সব বিষয় সমাধান করতে পারবে বলে তারা আশা করছে।
ক্ষুব্ধ ফেসবুক কর্মীরাও : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ ফেসবুকের কর্মীরা। কারণ গত সপ্তাহে ট্রাম্পের বিতর্কিত একটি পোস্ট ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরিয়ে দেয়নি বা ফ্লাগ মার্ক করেনি। এ জন্য অনেক কর্মী লজ্জা প্রকাশ করেছেন। জর্জ ফ্লয়েড পুলিশি নির্যাতনে মারা যাওয়ার পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্কতামূলক পোস্ট দেন। ট্রাম্প ওই পোস্টে ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর কথা বলেছিলেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, লুটপাট শুরু হলেই গুলিও শুরু হবে। ফেসবুক বলেছে, ট্রাম্পের এমন পোস্টে তাদের কোনো নীতি লঙ্ঘিত হয়নি। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে কিছু কর্মী বলেছেন, তারা এ ঘটনায় লজ্জিত। এর প্রতিবাদে কিছু সদস্য সোমবার অফিসে ‘ভার্চুয়াল ওয়াকআউট’ করেছেন। কিছু কর্মচারী ‘আউট অব অফিস’ মেসেজের মাধ্যমে জানান দিয়েছেন তারা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়ে দেয়া এ ঘটনার সূত্রপাত হয় মিনিয়াপোলিসে গত ২৫ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায়। এক খাবারের দোকানের কর্মচারী পুলিশের কাছে কল করে অভিযোগ করেন, এক ক্রেতা সিগারেট কিনে ২০ ডলারের জাল নোট দিয়েছে। পুলিশ এসে ওই অভিযোগে ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে গ্রেফতার করে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাস্থলে পুলিশের গাড়ি আসার ৭২ মিনিট পর রাস্তায় তিন পুলিশের নিচে চাপা পড়ে থাকা ফ্লয়েড অচেতন হয়ে ছিলেন, তার মধ্যে প্রাণের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না। প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার গলায় হাঁটু চেপে ধরায় ফ্লয়েড নিঃশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার বলছেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’।
ফ্লয়েডের মৃত্যুর পরদিন মঙ্গলবার ওই ঘটনায় জড়িত চার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে পুলিশ বিভাগ। এরপর শুক্রবার হেনেপিন কাউন্টি অ্যাটর্নি মাইক ফ্রিম্যান বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, শ্বেতাঙ্গ ওই পুলিশ সদস্য ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ধরে চেপে রেখেছিলেন। ফ্লয়েড অচেতন হয়ে যাওয়ার পরও শভিন তার হাঁটু সরাননি। চিকিৎসাকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার পরও পুরো এক মিনিট ধরে ফ্লয়েডের ঘাড় চেপে ধরে রেখেছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় অফিসার ডেরেক চাওভিনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত বা বেআইনি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী সোমবার তাকে আদালতে তোলা হবে। ঘটনার সময় সেখানে আরো তিন পুলিশ কর্মকর্তা টমাস লেইন, জে. আলেকজান্ডার কুয়ং ও টু থাও উপস্থিত। ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় তাদেরও বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।