আম্পানে লন্ডভন্ড বিদ্যুৎ ব্যবস্থা

461

মিরর বাংলাদেশ :

ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে দেশব্যাপী বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। সারা দেশে প্রায় দুই কোটি গ্রাহক অন্ধকারে ছিলেন।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ২টা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ সংযোগের ৫০ শতাংশ মেরামত করা হয়েছে এবং বাকি কাজও চলমান রয়েছে।

আজকের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামত বা পুনরায় সংযোগ দেয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

মোহাম্মাদ হোসেন  বলেন, ‘মূলত ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে উপড়ে যাওয়া গাছগুলো বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের ওপর পড়েছিল, যার ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যপকভাবে ব্যাহত হয়।’

সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ বিভাগ সব বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাকে তাদের এলাকায় ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ কীভাবে প্রভাবিত হয়েছে সে সম্পর্কিত পরিসংখ্যান এবং তথ্য প্রেরণ করতে বলেছে।

তারা জানান, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা এবং কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহের নেটওয়ার্ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কুষ্টিয়ায় একটি গ্রিড ট্রান্সফর্মার ঘূর্ণিঝড়ের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) অধীনে বিদ্যুৎ সরবরাহের নেটওয়ার্কটি বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাদের প্রায় দেড় কোটি গ্রাহক অন্ধকারে ছিল।

কর্মকর্তারা বলেছেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বেশির ভাগ জেলাতে আরইবির বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে, যেখানে গ্রাহকদের বিদ্যুতের ব্যত্যয় ঘটেছিল।

দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে বিতরণকারী নেটওয়ার্ক ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিও (ডাব্লুজেডপিসিডি) আম্পানের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মোহাম্মদ হোসেন বলেন, দেশে ঘূর্ণিঝড় আঘান আনার পর বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যুতের চাহিদে কমে দাঁড়িয়েছিল ২ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। যদিও স্বাভাবিক থাকলে এ সময়ে চাহিদার পরিমাণ থাকে ৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি।

তবে বেলা ২টার দিকে প্রায় ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধারের পর চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। ঘূর্ণিঝড় আঘত আনার আগে বুধবার বেলা ২টার সময় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৭ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।