আরো ৩ জনের মৃত্যু , নুতন আক্রান্ত ৫৮

835

মিরর বাংলাদেশ :  করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৫৮ জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু ৩০। নতুন করে ৫৮ জনের আক্রান্তের পর বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪৮২ জন। দেশব্যাপী ৯৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফোরা। তিনি শনিবার অনলাইনে কোভিড-১৯ বিষয়ক বুলেটিনে এ তথ্য জানান। অনলাইন ব্রিফিংয়ের সমন্বয় করেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি উল্লেখ করেন বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার মিরপুর, বাসাবো ও নারায়ণগঞ্জের লোকজন বেশি। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, দেশব্যাপী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে মানুষ যেন ঘরে থাকেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেক মানুষ রাস্তায়। সকালে বাজারে অনেক মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি সকলের উদ্দেশে বলেন, ইউরোপ- আমেরিকার দিকে তাকান, দেখুন সেখানে কত আক্রান্ত হয়েছে। কী ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দয়া করে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত একটু কষ্ট করে ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন। নিজে বাঁচুন, পরিবারের সদস্যদের বাঁচান। বেশি করে টেস্ট করুন। বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন ।

অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এদের অবস্থান সম্পর্কে বলেন, দু’জন ঢাকার বাইরের এবং একজন ঢাকার বাসিন্দা। এদের দু’জন পুরুষ এবং অপর একজন মহিলা। মৃতদের বয়স যথাক্রমে ৮০, ৭৪ এবং ৫৫ বছর। আজ যে ৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছে এর মধ্যে পুরুষ ৪৮ জন পুরুষ এবং ১০ জন মহিলা। আজ মোট ৫৮ জন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় অবস্থান ৪৪ জন এবং ৮ জন নারায়ণগঞ্জে।

শুক্রবার বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছিল। শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছিল ৯৪। আজ নতুন করে সুস্থ হয়েছেন তিনজন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৩৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে পর পর দু’বার ভাইরাস পরীক্ষার পর তাদের নমুনায় নেগেটিভ এসেছে।

আজ অবশ্য মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বাংলাদেশে ৪৮২ জনের একটি সার্বিক পরিসংখ্যান দিয়েছেন। তিনি বলেন, যে ৪৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন এদের ৫২ শতাংশ রাজধানী শহরে, ৩৫ শতাংশ ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতে এবং অবশিষ্টাংশ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে। মোট আক্রান্তদের ৭০ শতাংশ ৭০ এবং ৩০ শতাংশ নারী।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বয়স বিভাজন করে বলেন, এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তদের ২১ থেকে ৩০ বয়সীরা ১৯ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা ২২ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা ১৯ শতাংশ।

এদিকে কোভিড-১৯ নামে চিকিৎসকদের নতুন একটি সংগঠনের পরিচয় করিয়ে দেন অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। এই সংগঠনের সমন্বয় মেডিসিনের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. আব্দুল জলিল চৌধুরী। তিনি সর্বশেষ বিএসএমএমইউ’র ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন ব্গেম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফুল্লাহ। তারা যে কোভিড১৯ রোগীদের চিকিৎসা, হাসপাতালে ভর্তি, আইসিইউ চিকিৎসা অন্যান্য চিকিৎসায় সহায়তা করবেন। এই মেডিকেল টিমে সব বিভাগের চিকিৎসকেরা থাকবেন।