মিরর বাংলাদেশ : বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন মামলায় দন্ড প্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে এবছর এই দেশে ফিরে আনা হবে জানিয়ে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেছেন, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা বাস্তবায়ন করা হবে ‘এখন একটাই কাজ, ওই কুলাঙ্গারটাকে ফেরত নিয়ে আসা।’
রোববার গণভবনে কোটালিপাড়া উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলররা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এ বছরে নিয়ে এসে এ-দেশে তার সাজাটা বাস্তবায়ন করতে হবে। সে ব্যবস্থা আমরা সরকারের পক্ষ থেকে নিবো।
তিনি বলেন, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি, গ্রেনেড হামলার আসামি সাজাপ্রাপ্ত, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সেজন্য আমরা নিয়ে আসবো ব্রিটিশ গভর্মেন্টের কাছ থেকে। সেই আবেদনের করবো আমরা সরকারের পক্ষ থেকে। এ বছর তারেক রহমানকে দেশে নিয়ে এসে সাজাটা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ অগ্নি সন্ত্রাসের হাত থেকে মুক্তি পাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের যেসব খুনি বাইরে আছে আমরা তাদের খোঁজ করছি। সেই সাথে সাথে তারেক জিয়াসহ আরো যারা সাজাপ্রাপ্ত আসামি আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তিটা কার্যকর করা হবে।’
দেশের মানুষের শান্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং অগ্রগতি অব্যাহত রাখা এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নেই আমাদের কাজ করতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন একটাই কাজ, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনা। তাকে নিয়ে এসে সাজা বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যদিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতিসহ যেসব কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে সেগুলোর হাত থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পাবে।
সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতার খুনি যারা বাইরে আছে, তাদেরও আনার চেষ্টা করছি। তারেক জিয়াসহ যেসব সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাইরে আছে, তাদের শাস্তি কার্যকরের মাধ্যমে দেশের মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অর্থনৈতিক মুক্তি এবং অগ্রগতি অব্যাহত রাখাই লক্ষ্য। সে লক্ষ্য নিয়েই এখন কাজ করতে হবে।****