মিরর বাংলাদেশ :
করোনাভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে রোববার রাতে চিকিতসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসান। মহানগর উত্তরের দফতর সম্পাদক এবিএমএ রাজ্জাক জানান, হাসান ভাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। সকাল থেকেই তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিলো। দ্রুত তাকে গ্রামের বাড়ি থেকে অনেক চেষ্টা তদবীর করে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। গত দুইদিন আগে আহসানউল্লাহ হাসানের শরীরের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। রাজধানীতে কোনো হাসপাতালে চিকিতসার সুযোগ না পেয়ে আসুলিয়ায় গ্রামের বাড়ি মশুরিখোলায় আইসোলেশনে নিয়ে চিকিতসায় ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটলে তাকে গতকাল কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আনা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের কোনো ব্যবস্থা না থাকাতে তাকে পুনরায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে রোববার সকালে গুলশানে সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাজ্জাক বলেন, আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের জন্য রাজধানী ছোট বড় সব হাসপাতালে আমরা গত দুইদিন হন হন করে ঘুরেছি। কোথাও চিকিতসার সুযোগ পাওয়া যায়নি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আহসানউল্লাহ হাসান ঢাকা-১৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া হাসান ঢাকা সিটি করপোরেশনে মিরপুর ৬ নং ওয়ার্ডের টানা তিন দফায় নির্বাচিত কমিশনার ছিলেন। ১/১১ এর পরে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র হিসেবে মাসখানেক দায়িত্ব পালন করেছেন।
ঢাকা সিটি করোরেশন দুইভাগে বিভক্তির পর ২০১৭ সালে মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান হাসান। যে কোনো বিপদের সময়ে কর্মীরা তাকে কাছে পেতো।
তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে মহানগর বিএনপিতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। আহসানউল্লাহ হাসান মৃত্যুকালে স্ত্রী রিনা হাসান, দুই ছেলে সোহরাব আল হাসান ও সাকিব আল হাসানকে রেখে গেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক পৃথক শোকবার্তায় মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন। এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল।