এদিকে অনলাইনে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন পাঁচজনসহ দেশে মোট ৬১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সুখবর হচ্ছে, এ পর্যন্ত ২৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় মোট ছয়জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে সরকার।
এদিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল দিন দিন আরও দীর্ঘ হচ্ছে। শুক্রবার পর্যন্ত বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ১৯৫ জনে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, নভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ১০ লাখ ১৫ হাজার ৫০৫ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৮ জন চিকিৎসাধীন এবং ৩৭ হাজার ৬৯৬ জন (৫ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ২ লাখ ১২ হাজার ৩৯২ জন (৮০ শতাংশ) সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ৫৩ হাজার ১৯৫ জন (২০ শতাংশ) রোগী মারা গেছেন। গত বছরের ডিসেম্বরের চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এদিকে মাগুরার মহম্মদপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে থাকা এক রোগীর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। ওই রোগী উপজেলার কলমধারী এলাকার বাসিন্দা।
করোনা সন্দেহে থাকা ওই ব্যাক্তি বেশ কিছুদিন থেকে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা । তারা জানান, ওই রোগী করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মকছেদুল মোমিন বলেন, বিশেষভাবে ওই রোগীকে হাসপাতালের আইসলোশনে রাখা হয়েছিল। তার পরীক্ষার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানূর রহমান জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়া ওই রোগীর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এবং তার সংস্পর্শে থাকা প্রত্যেককে এখন আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।