করোনায় আরো ৬ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৯৪

686

 

মিরর বাংলাদেশ: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার  ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৯৪ জন। দেশব্যাপি এক হাজার ১৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করে এ তথ্য জানিয়েছেন আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফোরা। তিনি আজ বিকেলে অনলাইনে কোভিড-১৯ বিষয়ক বুলেটিনে এ তথ্যটি জানান। এটা নিয়ে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৪২৪ জন। যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে এদের তিনজন রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা, দুইজন নারায়নগঞ্জের এবং একজন পটুয়াখালী জেলার। মৃত ছয় জনের মধ্যে পছাজন পুরুষ এবং একজন মহিলা এবং মৃত ব্যক্তিদের একজন ৯০ বছর, একজন ৭০ থেকে ৮০ বছর বয়সের। দুইজন ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের। নতুন আক্রান্তদের ৬৯ জন পুরুষ এবং ২৫ জন মহিলা। বুলেটিনে গতকাল বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা। আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজধানীতে। এখানে আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরে ১৬ জন এবং অন্যান্য জেলায় অবশিষ্টরা। ঢাকার মধ্যে যাত্রবাড়িতে আক্রান্ত রয়েছে পাঁচজন।

অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা আজ সামাজিক দুরত্বের নতুন সংজ্ঞা দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে এটা হবে একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে শারীরিক দুরত্ব। এই দুরত্বটা কমপক্ষে তিনফুট দুরত্ব হতে হবে। তিনি কোভিড-১৯ ভাইরাস সম্পর্কে বলেন, এ ভাইরাসটি সম্পুর্ণ নতুন। প্রতিদিনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছে তাদের গবেষণা থেকে। আমরা দেশবাসীকে সে তথ্যগুলোই দিচ্ছি। ফলে কিছু তথ্য পরিবর্তন হচ্ছে। সেজন্য তিনি দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেন তথ্য পরিবর্তন হয়ে গেলে এটা তাদের অজ্ঞতা বলে যেন ধরে নেয়া না হয়। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য মাস্ক হিসেবে এন-৯৫ প্রয়োজন। আমরা প্রতিদনিই কিছু কিছু সংগ্রহ করছি এবং বিতরণ করছি। এখন স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে চার লাখ ৪৮ হাজার ৭২টি পিপিই মজুদ আছে। প্রতিদিনই আরো সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সেব্রিনা ফোরা জানিয়েছেন, আক্রান্তদের মধ্যে ১০ বছরের নিচের বয়সী ৪জন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ছয়জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১৪ জন রয়েছে।
অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা বলেন, বাংলাদেশে মোট ১১২টি আইসিইউ রয়েছে। এছাড়া দেশব্যাপি ৫৫০টি ভেন্টিলেটর রয়েছে।