মিরর বাংলাদেশ : চলমান নভেল করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি।জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের টালি বলছে, শনাক্ত রোগীদের এক-চতুর্থাংশ এবং মৃত্যুর ঘটনার এক-তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রে। দুদিক দিয়েই যুক্তরাষ্ট্র আছে তালিকার শীর্ষে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক দেশে পরীক্ষার হার কম হওয়ায় এই পরিসংখ্যানেও বাস্তব চিত্র উঠে আসেনি এবং আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
স্পেনসহ কয়েকটি দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে, কিন্তু লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করায় এসব দেশে প্রাদুর্ভাবের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ শুরু হতে পারে বলেও আশঙ্কা আছে।
আর মহামারীর কারণে বিশ্ব বাজার ও সাপ্লাই চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিভিন্ন দেশের সরকার অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকানোর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে।
মহামারী একটি ‘বড় পরীক্ষা’ ছিল আর তা দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলো দেখিয়ে দিয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছেন চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের পরিচালক লি বিন। প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় চীনের প্রাথমিক পদক্ষেপগুলো নিয়ে বিদেশিদের সমালোচনার মধ্যেই দেশটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এমন কথা জানালেন।
লকডাউনের বিধিনিষেধ থেকে বেরিয়ে আসার সময় যুক্তরাজ্য সরকার ‘অত্যন্ত সাবধানতার’ সঙ্গে এগোবে বলে দেশটির পরিবহনমন্ত্রী জানিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার প্রতি করোনাভাইরাসের হুমকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশটিকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট মি. শি জিনপিং। করোনা সঙ্কটের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মি. ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে সাড়া দিয়েছেন তার কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকাকে ‘চরম বিশৃঙ্খলাপূর্ণ বিপর্যয়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস্ ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড কোনো একজন করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার পর থেকে স্বেচ্ছা আইসোলেশনে আছেন।
এক সময় বিশ্ব মহামারীর উপকেন্দ্র হয়ে ওঠা ইটালিতে চলতি সপ্তাহে লকডাউনের কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু হয়েছে। ইটালীয়রা এখন বাইরে যেয়ে ব্যায়াম করতে ও তাদের নিজ অঞ্চলে থাকা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে কভিড-১৯ এ ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি এক মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে দেশটিতে রেকর্ড হওয়া সর্বনিম্ন দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। আগামীকাল সোমবার থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষগুলো। প্রতিবেশী স্পেনও একইপথে হাঁটছে।