মিরর বাংলাদেশ : ইউরোপীয় কয়েকটি দেশের নেতা বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় একটি ‘আন্তর্জাতিক জোট’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এ যৌথভাবে লেখা একটি নিবন্ধে এই ঘোষণা দিয়েছেন তারা। জোটের পক্ষ থেকে কয়েকশ’ কোটি ডলারে তহবিল সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সোমবার এই বিষয়ে একটি অনলাইন কনফারেন্স আয়োজিত হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ এ খবর জানিয়েছে।
নিবন্ধটি যৌথভাবে লিখেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ্পে কন্তে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেলন, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট আরসুলা ভন ডার লেয়েন।
তারা লিখেছেন, বিশ্বের সব প্রান্তের মহামারি বিপর্যয় ও যন্ত্রণা ছড়িয়ে দিয়েছে। এই বিশ্ব কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে। এবং একসঙ্গে আমরা জিতবই।
‘গ্লোবাল কো-অপারেশন প্ল্যাটফর্ম’ নামের এই জোটের লক্ষ্য হলো ‘কভিড-১৯’ এর টিকার গবেষণা, উন্নয়ন, প্রাপ্যতা ও বিতরণ এবং অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি গতিশীল করা। ইউরোপীয় নেতারা দাবি করছেন, এর মাধ্যমে ‘কভিড-১৯’ মোকাবিলায় সত্যিকার আন্তর্জাতিক জোটের ভিত্তি রচিত হয়েছে।
জোটের পক্ষ থেকে কয়েকশ’ কোটি ডলারে তহবিল সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই অর্থ ‘কভিড-১৯’ এর টিকা উদ্ভাবন ও চিকিৎসায় কাজে লাগানো হবে। আগামীকাল সোমবার এই বিষয়ে একটি অনলাইন কনফারেন্স করে বিস্তারিত জানানো হবে। বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলার জন্য জোটের পক্ষ থেকে সাড়ে সাত বিলিয়ন ইউরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইউরোপীয় নেতারা বলছেন, এই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বকে একত্রিত হয়ে সবচেয়ে ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে টিকা উদ্ভাবন, চিকিৎসা ও থেরাপির জন্য। যাতে করে আবারও পৃথিবীকে সুস্থ করে তোলা যায়। এর আওতায় থাকবে বিশ্বের সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবাকে সহজলভ্য করা এবং আফ্রিকার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া।
এই রাজনীতিকরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতি নিজেদের সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছেন এবং সম্প্রতি উন্মোচিত ‘অ্যাকসেস টু কভিড-১৯ টুলস (এসিটি)’ অ্যাকসিলেটরকে অনুমোদন দিয়েছেন।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং ওয়েলকাম ট্রাস্ট এই উদ্যোগ স্বাগত জানিয়েছে। তারা এতে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আজ রবিবার পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং প্রাণহানি হয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজারের বেশি মানুষের।