মিরর বাংলাদেশ : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের করোনা দুর্যোগের নানামুখী প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হবে বলে মনে করা যায়। এমতাবস্থায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে সুসমন্বিত ও সুবিবেচিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ, ত্রাণ বিতরণ, বিভিন্ন সেক্টরে প্রণোদনা ও ঋণ প্যাকেজ বন্টন ইত্যাদি বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য পুনরায় একটি জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের প্রস্তাব করছি। এ টাস্ক ফোর্সে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট সাংবাদিক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অর্থনীতিবীদ, সমাজবিজ্ঞানী, সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি করে এ টাস্ক ফোর্সকে অর্থবহ ও গতিশীল করার মাধ্যমে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আমাদের সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা এ মহাদুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।
আজ শুক্রবার সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত ৪ এপ্রিল বিএনপির পক্ষে করোনাজনিত প্রভাব মোকাবেলায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার ইকোনমিক প্যাকেজ (জিডিপির ৩%) ঘোষণা করলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রস্তাবিত প্যাকেজের ভেতর না ঢুকেই খুবই কটু ভাষায় বিএনপি মহাসচিবকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন এবং প্যাকেজটিকে “কল্পনা-বিলাস” বলে প্রত্যাখ্যান করেন। অথচ পরদিনই প্রধানমন্ত্রীর ৭২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা এবং পহেলা বৈশাখ ১৪২৭ উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে সর্বমোট ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা প্রমাণ করে যে বিএনপি ঘোষিত প্যাকেজটি ছিল বাস্তবভিত্তিক একটি সুচিন্তিত ও সময়োপযোগী প্রস্তাবনা।