মিরর বাংলাদেশ : আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই বরাদ্দ প্রস্তাবিত বাজেটের ৫ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট পেশকালে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের এ তথ্য জানান।
প্রস্তাবিত ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকার মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দুটি বিভাগের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে (পরিচালন খাতে ১২ হাজার ৮৩০ কোটি এবং উন্নয়ন হাতে ১০ হাজার ৫৪ কোটিসহ) ২২ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগে (পরিচালন ঘাটে তিন হাজার ৯১৭ কোটি এবং উন্নয়ন খাতে দুই হাজার ৪৪৬ কোটিসহ) ছয় হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আগের দুই অর্থবছরে (২০১৮-২০১৯ ও ২০১৯-২০২০ অর্থবছর) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ খাতে বরাদ্দ ছিল যথাক্রমে ১৮ হাজার ৬৭৭ কোটি ও ২৩ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরের অর্থাৎ ২০২০-২১ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে করোনা মোকাবিলায় যেকোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, কভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় বর্তমানে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে কভিড-১৯ মোকাবিলায় যেকোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি খাতের গবেষণার উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকার একটি ‘সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল’ গঠন করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এই গবেষণা তহবিল দক্ষ ও কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য খাতে অভিজ্ঞ গবেষক, পুষ্টিবিজ্ঞানী, জনস্বাস্থ্য ও সমাজবিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, পরিবেশবিদ ও সুশীল সমাজ ও অন্যান্য প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।