মিরর বাংলাদেশ : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) তান্ডবে কার্যত অচল ও অসহায় হয়ে পড়েছে বিশ্ববাসী। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ড করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪০ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৬ জন। মারা গেছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৫১ জনের মতো। করোনার প্রভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকার অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। দেশটিতে ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৩ লাখ ২২ হাজার ১৬৩ জন। মারা গেছে ৭৮ হাজার ৬১৬ জন।
প্রাণঘাতী এ ভাইরাস এতটাই ভয়াবহ যে, চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এখনো পর্যন্ত এর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেননি। কার্যত এর কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকায় এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে বাড়ছে মৃত্যুও আক্রান্তের হার।
ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে অনেকেই সুস্থও হয়ে উঠছেন। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৩০ জন। যা আক্রান্তের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ।
এদিকে এই এক-তৃতীয়াংশ মানুষ করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হলেও তাদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
ইয়েলি কার্ডিওলজিস্ট চিকিৎসক হারলান ক্রমহোলজ জানান, এ ভাইরাস শরীরের ভেতরে বিভিন্ন অংশে হানা দেয়। ফলে ফুসফুস ও হৃদযন্ত্র থেকে নিয়ে লিভার-কিডনিতেও প্রভাব ফেলে অপ্রতিরোধ্য এ ভাইরাস। শুধু তাই নয়, করোনা আক্রান্ত কোনো রোগীর শরীরের যেকোনো অঙ্গ-প্রতঙ্গে হামলা চালিয়ে তাকে অক্ষম করে দিতে সক্ষম।
ওই চিকিৎসকের মতে, করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হলেও এসব রোগী তাদের শরীরে এ ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বহন করবেন। এমনকি একটা সময় কারও কারও ক্ষেত্রে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়া সুস্থ হওয়ার পর শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা অনুভব করতে পারেন রোগীরা।