* প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
মিরর বাংলাদেশ : শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহি লঞ্চ ডুবির ঘটনায় তদন্ত
প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের গঠন করা তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ‘জাহাজ ও লঞ্চ চালকদের প্রতিযোগিতাকে’ উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম বেপারী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মঞ্জুরুল হাফিজের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, ‘প্রতিবেদন আমি পেয়েছি। এতে লঞ্চডুবির জন্য কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে, কার্গো জাহাজ চালক ও লঞ্চ চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা। ওই দিনের ঘটনার জন্য প্রতিযোগিতাই আমার কাছে প্রধান কারণ মনে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দুজনই যখন যাচ্ছে, তখন কে আগে শীতলক্ষ্যা সেতুর নিচটা পার হবে, তা নিয়ে দুই জনের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়। এখানে একটা বড় জাহাজ আর অন্যটা ছোট লঞ্চ। এক পর্যায়ে বাক নিয়ে দুজনের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে হবে, দ্রুতগতির জন্য সেই সুযোগটা তারা পায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকগুলো সুপারিশ করা হয়েছে। আমি একটি পোগ্রামে আছি, যার জন্য বলতে পারছি না। আগামীকাল বিস্তারিত জানাব। এসব সুপারিশগুলো নিয়ে আমরা কাজ করব। এ ছাড়া যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট
শামীম বেপারী জানান, ‘আমরা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। আমার কমিটির সঙ্গে যারা কাজ করেছেন সবাই মিলে একটি চিত্র তুলে ধরেছি। আমরা জায়গাটি পরিদর্শন করেছি। এখানে বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়েছে। অসম প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে আমরা সেটা তুলে ধরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছোট লঞ্চের পরিবর্তে যেন বড় নৌযান নামানো হয় সেটাও সুপারিশে বলা হয়েছে। যেহেতু এগুলো সামান্য ধাক্কা লাগলে ডুবে যায়। এরকম বিভিন্ন সুপারিশ যুক্ত করে আমরা প্রতিবেদনটি দাখিল করেছি।’
গত ২০ মার্চ দুপুর ২টায় সদর উপজেলার সৈয়দপুর কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ‘এমভি রূসপী-৯’ কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ‘এমএল আফসার উদ্দিন’ লঞ্চ ডুবে যায়। এ ঘটনায় ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের উদ্যোগে পৃথক ৪টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।’
এর মধ্যে ঘটনার পরদিন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এক কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন ডিসি