মিরর বাংলাদেশ :
নেত্রকোনায় কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হ্রাসের জন্য সামাজিক প্রতিরোধের অংশ হিসেবে ৭০০ মসজিদের ইমাম এবং বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার ৩০ জন সাংবাদিক একসাথে হয়ে কাজ করছেন।
অ্যাক্টিভিটি ফর রিফর্মেশান অব বেসিক নিডস – আরবান, নামের একটি স্থানীয় অলাভজনক সংগঠনের উদ্যোগে কমিউনিটির নেতৃস্থানীয়দের একটি নেটওয়র্ক সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে, রোগের ব্যাপারে ভ্রান্তধারণা কমাতে, আক্রান্তদের খুজে বের করতে, নমুনা সংগ্রহে সহায়তা করার পাশাপাশি শতাধিক দরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা করছে।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সামাজিক সংগঠন এবং কমিউনিটি গ্রুপের সমন্বিত পদক্ষেপের একটি উদাহরণ এই উদ্যোগ।
আরবান আর্থ-সামাজিক গবেষণা এবং প্রান্তিক এলাকার জনগোষ্ঠীর উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে নিয়োজিত। ২০১০ সালে কার্যক্রম শুরু করে আরবান দেশের বিভিন্ন জেলায় যুব উন্নয়ন, প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষা এবং তথ্য প্রযুক্তি প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করেছে। ২০১৯ সালে যুব উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে আরবান জাতীয় যুব সংগঠক পুরস্কার লাভ করে।
সিভিল সার্জনের অফিসের সূত্র মতে ১০ই এপ্রিলে নেত্রকোনায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পরে জেলার ১১০ এর বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা সংক্রমণের বিস্তারকে থামাতে, লোকেদের স্বাস্থ্যবিধি আচরণ পরিবর্তন করতে এবং ভাইরাস থেকে বাঁচতে ঘরে বসে থাকার জন্য উত্সাহিত করে চলেছেন।
স্বাস্থ্য-বার্তাগুলো শক্তিশালীকরণে এবং আচরণে পরিবর্তন উৎসাহিত করতে আরবান ধর্মীয় নেতা এবং সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করছে। আরবান ইমাম ও স্থানীয় সাংবাদিক উভয়ের সাথেই রোগের বিস্তার এবং তাদের ভূমিকা ও দায়িত্ব সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা নিয়ে ওরিয়েন্টেশন সেশন করেছে।
আরবানের প্রশিক্ষিত ইমামগণ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিবিধানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধিত ধর্মীয় রীতিনীতি ব্যবহার করে দাফন করছেন যাতে কমিউনিটিগুলো নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ দাফনের জরুরি নির্দেশনা মেনে চলতে পারে।
জনসাধারণকে করোনভাইরাস মোকাবেলার উপায় সম্পর্কে জানাতে, কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে ও স্বাস্থ্য বার্তাপ্রেরণের জন্য ইমামরা কুরআনের আয়াত ব্যবহার করেন এবং মসজিদ এর মাইক এ প্রচার চালাচ্ছেন। করোনা ভাইরাস রোগীদের প্রতি মানবিক আচরণ করার প্রয়োজনীয়তার কথা প্রচার করে ইমামরা এই রোগের সাথে জড়িতদের ভ্রান্তধারণা কমাতে সহায়তা করছেন।
আরবান স্বেচ্ছাসেবকরা ৭০০টির ও বেশি মসজিদে সাবান ও স্যানিটাইজারযুক্ত হাইজিন কিট হস্তান্তর করেছেন, এবং নামাজ পড়ার সময় প্রার্থনাকারীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন।
আরবান স্থানীয় সাংবাদিকদের জনসচেতনতা বাড়াতে এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে সন্দেহভাজন কোভিড-১৯ রোগীদের শনাক্তকরণ এবং নমুনা সংগ্রহ করতে সহায়তা করার জন্য স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করছে।
যেহেতু স্থানীয় সাংবাদিকদের কমিউনিটির মধ্যে বিস্তৃত যোগাযোগ রয়েছে, তারা সন্দেহভাজন কোভিড-১৯ রোগীদের সনাক্ত করতে এবং লোকদের সেলফ-কোয়ারেন্টিনের পরামর্শ দিতে সহায়তা করতে পারছেন।
জনস্বাস্থ্য সংকটে কীভাবে রিপোর্টিংয়ের উন্নতি করা যায় সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশান দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কমিউনিটি এঙ্গেজমেন্টের সময় তাদের সুরক্ষিত রাখতে আরবান তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম দিয়েছে।
আরবান আরও একটি ভ্রাম্যমান মাল্টিমিডিয়া সেন্টার স্থাপন করেছে – নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে অটো রিকশাতে সাউন্ড সিস্টেম লাগিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছে এবং কোভিড-১৯ পোস্টার প্রদর্শন করছে।
আরবান জানিয়েছে, স্থানীয় চেয়ারম্যান, পুলিশ ও স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে একযোগে সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
পূর্বধলা উপজেলায় সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সহায়তার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে আরবান প্রায় চার’শ দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা সরবরাহ করেছে।
অ্যাক্টিভিটি ফর রিফর্মেশান অব বেসিক নিডস – আরবান, নামের একটি স্থানীয় অলাভজনক সংগঠনের উদ্যোগে কমিউনিটির নেতৃস্থানীয়দের একটি নেটওয়র্ক সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে, রোগের ব্যাপারে ভ্রান্তধারণা কমাতে, আক্রান্তদের খুজে বের করতে, নমুনা সংগ্রহে সহায়তা করার পাশাপাশি শতাধিক দরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা করছে।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সামাজিক সংগঠন এবং কমিউনিটি গ্রুপের সমন্বিত পদক্ষেপের একটি উদাহরণ এই উদ্যোগ।
আরবান আর্থ-সামাজিক গবেষণা এবং প্রান্তিক এলাকার জনগোষ্ঠীর উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে নিয়োজিত। ২০১০ সালে কার্যক্রম শুরু করে আরবান দেশের বিভিন্ন জেলায় যুব উন্নয়ন, প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষা এবং তথ্য প্রযুক্তি প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করেছে। ২০১৯ সালে যুব উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে আরবান জাতীয় যুব সংগঠক পুরস্কার লাভ করে।
সিভিল সার্জনের অফিসের সূত্র মতে ১০ই এপ্রিলে নেত্রকোনায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পরে জেলার ১১০ এর বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা সংক্রমণের বিস্তারকে থামাতে, লোকেদের স্বাস্থ্যবিধি আচরণ পরিবর্তন করতে এবং ভাইরাস থেকে বাঁচতে ঘরে বসে থাকার জন্য উত্সাহিত করে চলেছেন।
স্বাস্থ্য-বার্তাগুলো শক্তিশালীকরণে এবং আচরণে পরিবর্তন উৎসাহিত করতে আরবান ধর্মীয় নেতা এবং সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করছে। আরবান ইমাম ও স্থানীয় সাংবাদিক উভয়ের সাথেই রোগের বিস্তার এবং তাদের ভূমিকা ও দায়িত্ব সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা নিয়ে ওরিয়েন্টেশন সেশন করেছে।
আরবানের প্রশিক্ষিত ইমামগণ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিবিধানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধিত ধর্মীয় রীতিনীতি ব্যবহার করে দাফন করছেন যাতে কমিউনিটিগুলো নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ দাফনের জরুরি নির্দেশনা মেনে চলতে পারে।
জনসাধারণকে করোনভাইরাস মোকাবেলার উপায় সম্পর্কে জানাতে, কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে ও স্বাস্থ্য বার্তাপ্রেরণের জন্য ইমামরা কুরআনের আয়াত ব্যবহার করেন এবং মসজিদ এর মাইক এ প্রচার চালাচ্ছেন। করোনা ভাইরাস রোগীদের প্রতি মানবিক আচরণ করার প্রয়োজনীয়তার কথা প্রচার করে ইমামরা এই রোগের সাথে জড়িতদের ভ্রান্তধারণা কমাতে সহায়তা করছেন।
আরবান স্বেচ্ছাসেবকরা ৭০০টির ও বেশি মসজিদে সাবান ও স্যানিটাইজারযুক্ত হাইজিন কিট হস্তান্তর করেছেন, এবং নামাজ পড়ার সময় প্রার্থনাকারীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন।
আরবান স্থানীয় সাংবাদিকদের জনসচেতনতা বাড়াতে এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে সন্দেহভাজন কোভিড-১৯ রোগীদের শনাক্তকরণ এবং নমুনা সংগ্রহ করতে সহায়তা করার জন্য স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করছে।
যেহেতু স্থানীয় সাংবাদিকদের কমিউনিটির মধ্যে বিস্তৃত যোগাযোগ রয়েছে, তারা সন্দেহভাজন কোভিড-১৯ রোগীদের সনাক্ত করতে এবং লোকদের সেলফ-কোয়ারেন্টিনের পরামর্শ দিতে সহায়তা করতে পারছেন।
জনস্বাস্থ্য সংকটে কীভাবে রিপোর্টিংয়ের উন্নতি করা যায় সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশান দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কমিউনিটি এঙ্গেজমেন্টের সময় তাদের সুরক্ষিত রাখতে আরবান তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম দিয়েছে।
আরবান আরও একটি ভ্রাম্যমান মাল্টিমিডিয়া সেন্টার স্থাপন করেছে – নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে অটো রিকশাতে সাউন্ড সিস্টেম লাগিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছে এবং কোভিড-১৯ পোস্টার প্রদর্শন করছে।
আরবান জানিয়েছে, স্থানীয় চেয়ারম্যান, পুলিশ ও স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে একযোগে সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
পূর্বধলা উপজেলায় সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সহায়তার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে আরবান প্রায় চার’শ দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা সরবরাহ করেছে।