মিরর বাংলাদেশ: চট্টগ্রামে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে বায়েজিদ বোস্তামী থানার বর্তমান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী।
বুধবার বিকেলে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দীন মুরাদের আদালতে মো. ইয়াছিন নামের এক ব্যবসায়ী মামলাটি করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারকে (প্রশাসন ও অর্থ) নিজে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বায়েজিদ বোস্তামী থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার, সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আফতাব, এএসআই মো. ইব্রাহিম, এএসআই মিঠুন নাথ, কনস্টেবল রহমান ও সাইফুল।
এ বিষয়টি বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’
বাদী পক্ষের আইনজীবী শহীদুল ইসলাম সুমন জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় বায়েজিদ বোস্তামী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ব্যবসায়ী মো. ইয়াছিনকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে থানার তৎকালীন ওসি তদন্ত প্রিটন সরকারের রুমে বসিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। প্রথম দফায় সেই ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করে ব্যবসায়ী ইয়াছিন ছাড়া পান।’
তিনি আরও বলেন, ‘চলতি মাসের ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নগরের শেরশাহ এলাকায় সিএনজি আটকে ব্যবসায়ী ইয়াছিনকে ফের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এবার পুলিশ তাকে একটি নোহা গাড়িতে করে নগরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় নিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়। এসময় ওসি প্রিটন সরকার ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ১২ লাখ টাকায় বিষয়টি সমাধা হয়। বাদী ইয়াছিনের ভাই ২৮ জনের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা ধার করে ওই টাকা পরিশোধ করেন। পরে রাত ১২ টার দিকে নগরের হামজারবাগ এলাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।’
বাদী মো. ইয়ছিন নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চট্টগ্রাম পলিটেকনিক এলাকার বাসিন্দা ও ইয়াছিন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ইট-বালি ও রড বিক্রির প্রতিষ্ঠানের মালিক।