চামড়া নিয়ে ভাবনা নাই, গরুর হাটে আইন নাই

1361

।।   রবিউল আলম ।। 

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রপ্তানি উন্নয়নের পরিকল্পনা করেন সরকার। সরকারের বানিজ্য, শিল্প মন্ত্রনালয়, ব্যাংক গুলো নড়েচড়ে বসেন। পশুর বর্জ্য রপ্তানির বিশাল ভুমিকা রাখলেও মুল আলোচনা হয় চামড়া নিয়ে। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে আলোচনা, মাংস শ্রমিকদের প্রশিহ্মন চলতি বছর কিছুই করা যাচ্ছে না। তার উপর চামড়া শিল্প উন্নয়নে প্রধান প্রতিবন্দকতা সৃষ্টি করেছে ইটিভি। পরিপুর্ণ করতে না পারায় রপ্তানির জন্য অনুমতিপত্র পাওয়া যাচ্ছে না এবং বিদেশি ভায়ারও আসতেছে না। আমাদের রপ্তানির বন্দের সুযোগ নিচ্ছেন ভারত। শেখ হাসিনা চামড়া নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন, দেখিয়েছেন জাতিকে। রাষ্ট্র উজার করে ব্যয় বহন করেছে চামড়া শিল্প উন্নয়নে। শিল্প মালিক ও প্রশাসনিক ব্যার্থতার জন্য সরকারের চামড়া খাত জিম্মি হয়ে আছে। মাদ্রাসা,

 

এতিমখানা, মৌসুমি ও কাঁচা চামড়ার ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার কোটি টাকা এখন টেনারীর মালিকদের কাছে ফাইল বন্দী হয়ে আছে। কবে রপ্তানি চালু হবে, লাভজনক হবে চামড়া শিল্প, লাভে টাকা দিয়ে ঋন পরিষদের আশায় আছেন , পাওয়ার আশায় আছি আমরা। এই কোরবানির চামড়ার কি হবে, কে রহ্মা করবে, কি ভাবে কি দিয়ে এই ভাবনার কেহ আছেন বলে আমার জানা নাই। গরুর হাটে আইন বলে কিছু আছে কি না আমার জানা নাই। গরুর হাটের সরকার ( ইজারাদার ) যা বলে সবাইকে মেনে চলতে হয়। তাদের নিরাপত্তাদেয় জাতীয় সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী, খাজনা আদায়ে বৈধ অবৈধ নাই। স্থায়ী আর অস্থায়ী গরুর হাট নাই মিলেমিশে একাকার। ভোক্তা অধিকার, ভ্রম্যমান আদালতের স্বাদ্ধ কি গরুর হাটের ইজারাদারের টিকি ছুয়ার। মেয়র, চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকারের নির্দশনা খাতায় থাকে, আছেও বাস্তবায়ন নাই। ৪৫ বছরে দেখি নাই, পুর্বে হয়েছিল কি না জানা নাই। বৃটিশ সরকার লাঠিয়ার লালন পালন করতো গরুর হাট দিয়ে, বাঙালীর অধিকার হরন কাজে ব্যবহার হয়েছে। পাকিস্তান সরকার সেই পথ অনুসরণ করেছে স্বৈরশাসক গরুর হাটকে ব্যবহার করতে ভুল করে নাই। গনতান্ত্রিক শেখ হাসিনা সরকারের উপর দেশের মানুষের অনেক আশা। আওয়ামীলীগ সরকারের লাঠিয়াল প্রয়োজন হয় নাই, হবেও না রাজনীতির জন্য, জনগণের ভালোবাসাই যতেষ্ঠ। আমরা আশা করবো গরুর হাট সন্ত্রাস মুক্ত হবে। মেয়র, চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিবে। লেখক :  মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি