চিরকুটের সূত্র ধরে ১৭ মাস পর শিশু ইমাম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই

363

মিরর বাংলাদেশ : একটি চিরকুটের সূত্র ধরে প্রায় ১৭ মাস পর নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মাধবপাশা এলাকার ২ মাসের শিশু ইমাম হোসেন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেষ্টিগেশন ( পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ শাখা ।

এঘটনায় জড়িত ইমাম হোসেনের মা খাদিজা আক্তার পিংকিকে  রোববার গ্রেফতারের পর হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবান বন্দি দিয়েছে।
পিবিআই সূত্র জানায়, গত বছরের ১৯ এপ্রিল বন্দর থানার ১নং মাধবপাশা (কান্দিপাড়া) এলাকার রুবেলের ২ মাসের শিশুপুত্র ইমাম হোসেন হারিয়ে যায় । সে সময় ইমাম হোসেনের মা জানান তার শিশুপুত্রকে কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। ২১ এপ্রিল বসত বাড়ীর পাশে পুকুর হতে ইমাম হোসেনের লাশ পাওয়া যায় ।
এঘটনার বিচার চেয়ে ইমাম হোসেনের বাবা রুবেল বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করে। ঘটনার রহস্য উদঘাটন না হওয়া মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সাইফুল আলম মামলাটির তদন্তভার গ্রহন করেন।
পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, পিপিএম জানায়, ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পিবিআই ঘটনাস্থল হতে সাত শব্দের একটি ছোট কাগজের টুকরা আলামত হিসেবে জব্দ করেন। জব্দকৃত কাগজে লেখা থাকে “বাচা গড়ে গড়ে চুরি করমু সাবথাব” উক্ত কাগজের হস্তলেখার বিষয়ে ঘটনাস্থল ও বসতবাড়ীসহ আশেপাশের লোকজনের নমুনা লেখা সংগ্রহ করে। পর্যালোচনার এক পর্যায়ে ভিকটিমের মা খাদিজা আক্তার পিংকির হাতের লেখার সহিত জব্দ লেখার মিল থাকায় খাদিজা আক্তার পিংকির হাতের লেখা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে সংগ্রহ করে নমুনা হস্তলেখা বিশেষজ্ঞ দ্বারা তুলনা মূলক পরীক্ষা করে জব্দ লেখা ভিকটিমের মাতা খাদিজা আক্তার পিংকির লেখার সহিত মিল পায়।
পিবিআই জানায়, হস্তলেখার মিল পাওয়ার গতকাল রোববার খাদিজা আক্তার পিংকিকে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ অফিসে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় তার স্বামী রুবেল তাকে বার বার টাকার জন্য চাপ দিত। তার স¦ামী(বাদী) চাইত তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার পিংকি তাকে কামাই করে খাওয়াবে। সে বাবার বাড়ীতে আসার পর তার স¦ামী(বাদী) তার কোন ভরন পোষন দিত না। এটা নিয়ে তার পরিবারের লোকজন তকে উপহাস করত। তাই সে চাপ সহ্য করতে না গত বছরের ১৯ এপ্রিল দিবাগত রাত্র ১২.৩০ ঘটিকার সময় তার ঘুমন্ত ছেলে ভিকটিম ইমাম হোসেন (২মাস) কে কোলে নিয়ে ঘরের পাশের পুকুরে ফেলে দেয়।
পরবর্তীতে খাদিজা আক্তারকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিন এর আদালতে তোলার পর নিজ দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।