চোখের পানিতে দিন যায় সাটুরিয়ার বিধবা শরিফন বেগমের

674

মানিকগঞ্জ প্রতিনিথি

আমারে দ্যাহার কেউ নাই। স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মইরা গেছে। খেয়ে না খেয়ে দিন যায়। বৃষ্টিতে ভিজি, শীতে কষ্ট করি। কেউ দরদ দেখায় না। চোখের পানি মুছতে মুছতে কথাগুলো বলছিলেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার সাভার গ্রামের মৃত হিরু মল্লিকের স্ত্রী শরিফন বেগম।

উপজেলার সাভার গ্রামের হতদরিদ্র শরিফন বেগম (৫০)। পাঁচ বছর আগে স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। ঋণ করে তিন মেয়ের বিয়ে দিয়ে কলেজপড়ুয়া এক ছেলেকে নিয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন শরিফন।

অসহায়ত্বের কারণে ঠাঁই হয়েছিল মানিকগঞ্জের একটি ছাত্রী হোস্টেলে রান্নার কাজে। হোস্টেলে ঝিয়ের কাজ করে কোনো মতে দিন চললেও করোনার প্রভাবে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি। তিনি বহুদিন ঘুরেও কোনো সরকারের সামাজিক সহায়তার কার্ডে (বিধবা কার্ড) নিজের নাম অন্তর্ভূক্ত করতে পারেননি।

শরিফন বলেন, শ্বশুরবাড়িতে জরাজীর্ণ ঘরে থাকি। রাতে ঘর থেকে আকাশ দেখা যায়। বৃষ্টিতে ভিজতে হয়, শীতে করতে হয় কষ্ট। মাথা গোজার ঠাঁই চাই। বিভিন্ন জনের বাড়িতে কাজ করে খাবারের ব্যবস্থা হলেও এখন তো কাজ নেই। আমাদের সঞ্চয় নেই যে কয়েক দিন বসে খাব, এখন যদি সরকার এই গরিবের দিকে না দৃষ্টি দেয় তাহলে না খেয়েই মরতে হবে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো: হারুন-অর-রশিদ জানান, গ্রামের অধিকাংশ লোকজনই দরিদ্র। সরকারি খাদ্য সহায়তা সীমিতভাবে আসছে। কাগজপত্র নিয়ে এলে ওই নারীকে বিধবা কার্ড করে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল বিষয়টি তার জানা ছিল না। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন, তাকে সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।