* সর্তক প্রশাসন,বিভিন্ন স্থানে কয়েকজন কমকর্তা যৌথ বাহিনীর হেফাজতে
মিরর বাংলাদেশ : জেলায় জেলায় বিদ্যুতের ব্লাক আউট করার মাধ্যমে গন্ডগোল করার কোন ছক তৈরী হচ্ছে কিনা পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দাবী আদায়ের নামে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে রাখে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন । ফলে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। ঘটনা নিয়ে সর্তক রয়েছে প্রশাসন। মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের চার কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে যৌথ বাহিনী। অন্তর্বর্তী কালীন সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্রের মধ্যে এটা একটা কিনা তা খতিয়ে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসান করার প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে এবার গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে ফের আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এ ঘটনায় মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের চার কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন জেলায় ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে অংশ নেয় তারা।
বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালনকালে মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের চার কর্মকর্তাকে যৌথ বাহিনীর হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি মূলজান পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এরআগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় পুরো জেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে সদর উপজেলার মূলজান পল্লী বিদ্যুৎ অফিস প্রাঙ্গনে ব্ল্যাক আউট কর্মসূচির নের্তৃত্বদানকারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রশাসন রাজিবুল হাসান, এজিএম ইএমসি মো. হাসিব উদ্দিন, এজিএম গিয়াজ উদ্দিন খান শাকিল, ডিজিএম হরিরামপুর সামিউল কবিরসহ চার কর্মকর্তার নের্তৃত্বে অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অবস্থান নেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বার বার অনুরোধ করা হলেও বিদ্যুৎ লাইন চালু না করায় দুপুর দেড়টার দিকে যৌথ বাহিনী এবং সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধর্মঘটের নেতৃত্ব দেওয়া চার কর্মকর্তাকে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়ে আসে। এরপর প্রায় সারে তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ থাকার পর দুপুর আড়াইটার দিকে পুরো জেলায় বিদ্যুৎ লাইন চালু করে দেয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস।
বরিশালে বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ :
বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারকে চাকরি থেকে অবসান দেওয়ার প্রতিবাদে বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। গতকাল সকাল থেকে বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ রাখা হয়। পরে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বরিশাল পল্লী বিদ্যুত অফিসের সামনে এসে প্রতিবাদ জানায়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বৈঠক করে। পরে কিছু লাইন সচল হলেও বাকিগুলো পর্যায় ক্রমে সচল করা হবে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা কর্মচারীরা বেশ কিছুদিন ধরে তাদের বিভিন্ন দাবিতে কর্মসূচি পালন করছে। কিস্তু এমন আন্দোলনে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ এর কারো সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।
ফের আন্দোলনে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা :
গত দুইদিনে মাঠ পর্যায়ের ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারিকে চাকরি থেকে অবসান করার প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে এবার গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে ফের আন্দোলনে নেমেছে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল সাড়ে দশটায় জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর রামপুর এলাকায় কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অফিসে কর্মবিরতি দিয়ে আন্দোলনে অংশ নেয় তারা। এদিকে কুমিল্লার চারটি সমিতিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
আন্দোলনকারীরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিতদের চাকরি নিয়মিত করাসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরই মধ্যে বুধবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১০ জন এবং বৃহস্পতিবার আরো ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অবসান করা হয়। এর প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নামেন তারা। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তারা।
এদিকে, বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর রামপুর এলাকায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যান কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার। পরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের সাথে সম্মেলন কক্ষে বৈঠকেও অংশ নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কুমিল্লা জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল হান্নান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরিজ, সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানমসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্মকর্তারা।
তবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দাবি, জরুরি সেবা বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করা, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং দাপ্তরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় বিধি অনুযায়ী চিঠির মাধ্যমে তাদের চাকরি অবসান করা হয়েছে। তাদের এই আন্দোলনটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের শাটডাউন:
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের শাটডাউন দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাজশাহীর কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তানোর বিভাগীয় সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) কামাল হোসেন জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে চান। তা ছাড়া দাবি আদায়ে সারা দেশের কর্মীরা ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কামাল হোসেন আরও বলেন, দেশের ৬৪টি জেলায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আছে। এসব সমিতিতে কর্মরত আছেন প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাঁরা দেশের ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। দেশের মোট গ্রাহকের হিসাবে এটি প্রায় ৮০ শতাংশ। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বোর্ডের কাছে কিছু দাবি জানিয়ে আসছিলেন। দাবি আদায়ে প্রায় ১০ মাস ধরে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এমন ২০ জন কর্মকর্তাকে গতকাল বুধবার চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের এই কর্মকর্তা বলেন, চাকরিচ্যুত ২০ জনই কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) রয়েছেন। আজ তাঁরা চাকরিচ্যুতির বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর চাকরিচ্যুতির এই আদেশ প্রত্যাহার ও তাঁদের আগের দাবি আদায়ে তাঁরা বিদ্যুৎ শাটডাউন রাখার মতো কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তাঁরা ঢাকায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ঘেরাও করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী রোববার থেকে এ কর্মসূচি চলবে।
রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক রমেন্দ্র চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাচ্ছি। ইতিমধ্যে কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চালু করার চেষ্টা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও চালু করতে পারিনি।’
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সচিব হাসিনা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ শাটডাউন করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাচ্ছি। বিদ্যুৎ চালু করার ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। মাঠপর্যায়ের সমিতির অফিসগুলো এ নিয়ে কাজ করছে।’
এদিকে ১০ কর্মকর্তার নামে মামলা এবং চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্তের প্রতিবাদে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা না হলে দেশজুড়ে ব্ল্যাক-আউটের হুমকি দিয়েছেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ আল্টিমেটাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
বার্তায় বলা হয়, চলতি বছরের শুরু থেকে আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সকল চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ২ দফা দাবি আদায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলন চলমান। আন্দোলনের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেম তথা আরইবি সংস্কার সময়ের দাবি হিসেবে উল্লেখপূর্বক সংস্কারসহ অন্যান্য সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের জন্য গত ১ আগস্ট ১৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং ইতোপূর্বে ওই কমিটির ৪টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত এবং দফায় দফায় সভা অনুষ্ঠিত হলেও সরকারের সংস্কার উদ্যোগে আরইবির প্রত্যক্ষ অসহযোগিতার কারণে কমিটি চূড়ান্ত সুপারিশ প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়নি।
বার্তায় আরও বলা হয়, গণস্বাক্ষরসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দাবি উপস্থাপন, গ্রাহক সেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রেখে গত মে মাসে ৫ দিন এবং জুলাই মাসে ১০ দিন কর্মবিরতি, আগস্টে লং মার্চ টু আরইবি, ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটামে গণছুটি ঘোষণার পর জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় কর্মসূচি প্রত্যাহার, সারাদেশে একযোগে ডিসি অফিস ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন, স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিতকরণের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বরাবর একাধিকবার স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়।
চলমান প্রেক্ষাপটে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের, ১৭ অক্টোবর তারিখে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার এবং ১০ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এ অবস্থায়, দায়িত্ব গ্রহণের পর একটি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করে আরইবির পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে দেশের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ভুল তথ্য উপস্থাপন এবং সেনাবাহিনীর ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অস্থিতিশীল করার প্রত্যক্ষ মদদের কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও সমিতির কর্মকর্তাদের চাকরি অবসানের আদেশ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণাপূর্বক ২ দফা দাবি আদায়ে ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাকা অভিমুখে লং মার্চ করতে বাধ্য হবে।
*****