ডিআরইউ নির্বাচন : সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩ প্রার্থীর বিরামহীন প্রচারণা

910

মিরর বাংলাদেশ :
পেশাদার সাংবাদিকদের সর্ব বৃহৎ সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২১ নির্বাচন প্রার্থীদের বিরামহীন প্রচারণা চলছে। দিন রাতের বেশীর ভাগ সময়ই কাটছে প্রচারণায়। ভোটারদের কাছে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে চেষ্টা করছেন সবাই। ভোটের পাওয়ার জন্য প্রার্থীরা নিচ্ছে অনেকে কৌশল। সবাই চায় শেষ হাসিটা যেন তার হয়। ভোটারদের কাছে সরাসারি কিংবা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ভোটের আবেদন করছেন। আগামী ৩০ নভেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
ডিআরইউর এবারের নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৩জন। এরা হলেন, আবদুল হাই তুহিন, আব্দুল্লাহ আল কাফি, মাইনুুল হাসান সোহেল । নির্বাচনী প্রচারনা এই তিনজনের কেউই কারোর চাইতে কম নয়। বিজয়ী হতে এই জন প্রত্যেকে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাণপন চেষ্টা। ইতোপূর্বে এই তিনজন প্রার্থী ডিআরইউর বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ইতোপূর্বে কয়েকটি উপকমিটিতে থেকে তারা ডিআরইউর কল্যাণে কাজে করেছেন। বিশেষ করে মহামারি করোনাকালে এদের অনেকের কল্যাণমুলক কাজের সুনাম অনেক ভোটারের মুখে মুখে। সেই ইমেজ কাজে লাগিয়ে বিজয়ী হওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন তারা।

মাইনুুল হাসান সোহেল :

ডিআরইউতে একটা পরিচিত মুখ মাইনুল হাসান সোহেল। নির্বাচিত হয়ে ২০১৭ সালে প্রথম ডিআরইউর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন উপকমিটিতে থেকে ডিআরইউর কল্যানে কাজ করেছেন।


২০০৫ সালে দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতার জগতে পা রাখেন তিনি। বিএসএস(অনার্স)এমএসএস(সমাজকর্ম)বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জনকরেন তিনি। পরবর্তী ঢাকায় এসে দৈনিক ইনকিলাব,বাংলা নিউজ, শীর্ষ নিউজ,ভোরের ডাক পত্রিকায় ষ্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।
মিরর বাংলাদেশকে তিনি জানান, ডিআরইউর সদস্যদের কল্যাণে সবসময় থাকার চেষ্টা করি। সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে আরো ভালোভাবে সংগঠনের জন্য ভুমিকা রাখতে চাই। দায়িত্ব পেলে গঠনতন্ত্র মোতাবেক আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পালন করবো।
তিনি জানান, মহামারি করোনার শুরুতে ডিআরইউতে করোনা টেষ্ট বুথ স্থাপনে সহোযোগিতা,, সদস্যদের বাসায় গিয়ে করোনা টেষ্ট করিয়ে দেয়া,এম্বুলেন্স সেবা সহায়তা করেছি।, এছাড়া সোনালী ব্যাংক থেকে আর্থিক সহায়তা এনে দেয়া, ওয়ালটন থেকে করোনার শুরুতে পিপিই, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে মাস্ক-সেনিটাইজার এনে দেয়া, টেলিমেডিসিন সেবা চালু করার জন্য সহায়তা করেছি।

আব্দুল্লাহ আল কাফি :

ডিআরইউতে আরেক পরিচিত মুখ আব্দুল্লাহ আল কাফি এবার সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন। ডিআরইউর ২০১৮ সালের কমিটির প্রথম কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল্লাহ আল কাফি। ঐ নির্বাচনে তিনি সর্বোচ্চ ভোটে কার্যনির্বাহিী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া এর আগে তিনি একাধিক উপকমিটিতে থেকে ডিআরইউর উন্নয়নমুলক কাজ করেছেন।

 


সদস্যদের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ আবদুল্লাহ আল কাফি ২০০৮ সালে নিউজ এজেন্সি ‘এনএনবি’র মাধ্যমে সাংবাদিতার জগতে পা রাখেন। পরবর্তীতের নিউজ এজেন্সি ‘ফোকাস বাংলা’ দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক আমার দিন, ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ পোষ্টে কাজ করেন। বর্তমানে তিনি সুনামের সাথে দৈনিক আমাদের সময়ের ষ্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন।
আব্দুল্লাহ আর কাফি ‘উদ্যোগ অর্থনীতি ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিক্স (ঢাবি)’ অধ্যয়ণরত। এছাড়া তিনি বিএ অনার্স, এম এ (বাংলা) ঢাকা কলেজ, এল এলবি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অজর্ন করেন।
মিরর বাংলাদেশকে আব্দুল্লাহ আল কাফি জানান, ডিআরইউর সদস্য পদ পাওয়ার পর থেকে সংগঠনের উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন তিনি। বিশেষ করে করোনাকালে সদস্যদের পাশে থেকে অগ্রনীভুমিকা পালন করেন। সদস্যরা তার ত্যাগ ও শ্রমের মুল্যায়ন করবেন বলে আশাবাদী তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে সংগঠনের ভাবমুর্তি অক্ষুন্ন রাখার পাশাপাশি গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবো।

আবদুল হাই তুহিন :

ডিআরইউতে আরেক পরিচিত মুখ আবদুল হাই তুহিন এবার সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন। এর আগে ডিআরইউর ২০১৮ সালের কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া ২০১৯ সালে তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ডিআরইউর উন্নয়নে ইতোপূর্বে অনেক অবদান রাখেন আবদুল হাই তুহিন।


সদস্যদের কাছে প্রিয়মুখ আবদুল হাই তুহিন ২০০৫ সাল সাংবাদিকতরা জগতে পা রাখেন। পরবতীর্তে দৈনিক ভোরের কাগজ, দিনের শেষে,দৈনিক সংবাদে ‘ষ্টাফ রিপোর্টার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সংবাদ প্রতিদিনের সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।
মিরর বাংলাদেশকে আবদুল হাই তুহিন জানান, সদস্য পদ পাওয়ার পর থেকে ডিআরইউর সদস্যদের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করেছি। ইতোপূর্বে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে এবং তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন কালে আমি চেষ্টা করেছি সর্বাত্মকভাবে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার । সদস্যদের প্রশিক্ষনের পাশাপাশি আইটি সেকেশনের উন্নয়নে আমি প্রাণপন চেষ্টা করেছি। ডিআরইউর উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা (ডোনেশন)আনার ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হয়েছি।
তিনি জানান, নির্বাচিত হলে ডিআরইউর সাংগঠনিক অবস্থান আরো শক্তিশালী করা আর্থিকাভাবে সহায়তা করা, সদস্যদের কল্যাণে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবো।