তবুও ঢাকা ফেরার চেস্টা, শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি ঘাটে যাত্রীর ঢল

459

মিরর প্রতিনিধি   মুন্সীগঞ্জ :

করোনা কালিন কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ২১ জেলা থেকে ঢাকার প্রবেশ মুখ শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নেমেছে। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। সীমিত আকারে গণপরিবহন চলাচল এবং সকল সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত খোলা থাকার সরকারি ঘোষণায় লোকজন এখন কর্মস্থলমুখী হচ্ছে। তবে লঞ্চ, সিবোট এখনও চলাচল না করায় ফেরিতে গাদাগাদি করে যাত্রীরা পদ্মা পারি দিচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এখান থেকে করোনা সংক্রমিত হবার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে এই যাত্রায়। চতুর্থবারের মতো ঢাকামুখি মানুষ।

বৃহস্পতিবার সকালে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ ছুটছে কর্মস্থল ঢাকা ও তার আশেপাশের জেলাগুলোতে। যখনই ওপার কাঁঠালবাড়ি থেকে কোন ফেরি আসছে, তাতে মানুষ আর মানুষ ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। মানুষের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে ফেরিতে থাকা দু-একটি গাড়ীও।

শিমুলিয়া ঘাটে আসার পর যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে নেমে ছুটছে গাড়ী ধরার জন্য। কিন্তু সেখানে গাড়ী না পেয়ে তারা ছোট ছোট গাড়ী বিশেষ করে নসিমন, করিমন, পিকাপভ্যান, অটো রিক্সা উবারের অপ লাইনের মোটর সাইকেল, গাড়ী ও মাইক্রোতে গড়ে ঢাকার দিকে ছুটছে। এতে তাদের কয়েকগুণ ভাড়া বেশী গুনতে হচ্ছে। এরপরে আবার বিপত্তি দেখা দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। ব্যক্তিগত গাড়ী ছাড়া ভাড়ার গাড়ী চলাচলে সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা ভাড়ার গাড়ীগুলো আটকিয়ে দেয়ায় যাত্রীরা পরছে যানবাহন সংকটে।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো: হিলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নেমেছে। কিন্তু যানবাহনের অভাবে এসব যাত্রীরা ঢাকায় ফিরতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ী ছাড়া ভাড়ার গাড়ী চলচল নিষেধ থাকায় আমরা বেশ কিছু ভাড়ায় চালিত মাইক্রো ও প্রাইভেট কার জব্দ করেছি। এগুলো বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি আইসি পরিদর্শক মো: সিরাজুল কবির জানিয়েছেন, সকাল থেকে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। দক্ষিনবঙ্গমুখী তেমন কোন গাড়ীই নেই। ভোরের দিকে হালকা যানবাহন থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নেমেছে। সরকার সাধারণ ছুটি সমাপ্ত ঘোষণা করায় লোকজন এখন কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। তবে সামাজিক দূরত্ব এখানে লংঘন করা হচ্ছে। এতে কারো শরীরে করোনা থাকলে তা সংক্রমিত হবার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া কার্যালয়ের সহকারি ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ১০টি ফেরী চালাচল করছে। ১০টি মধ্যে ৪টি রো রো ফেরী, ৪ টি কে টাইপ ফেরী, ২টি মিডিয়াম ফেরী। কোন ডাম্প ফেরী চলাচল করছে না। ঢাকামূখী যাত্রীদের প্রচন্ড চাপ। দক্ষিণ বঙ্গে যাওয়ার কোন চাপ লক্ষ্য করা যায়নি।