মিরর বাংলাদেশ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি খন্ডবিখন্ড লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর সোয়া একটার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়ার একটি ডোবার পাশ থেকে মাটি চাপ দেয়া বস্তাভর্তি লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর আলম জানান, স্থানীয়রা ডোবার পাশে একটি খন্ডিত হাত দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি বস্তা উদ্ধার করে। বস্তা খুলে দেখা যায়, সেখানে খন্ডিত তিনটি লাশ রয়েছে। এর মধ্যে দুইটি নারীর এবং একটি শিশুর। লাশ গুলোর মাথা, হাত-পাসহ বিভিন্ন অংশ খন্ডিত করে বস্তাবন্দি করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। তারা হলেন সিদ্ধিরগঞ্জের পুকুরপার থানার মিজমিজি পশ্চিমপাড়ার আ: ছামাদের মেয়ে স্বপ্না আক্তার (৩৫), লামিয়া আক্তার (২২), ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ (৪)। তারা মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় একটি ভাড়াবাসায় থাকতেন এবং চলতি মাসেই নতুন বাসাটি ভাড়া নেন। নিহত স্বপ্না আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন এবং লামিয়া আক্তার পোশাক শ্রমিক ছিলেন। গত ৪দিন ধরে তারা নিখোঁজ ছিল।
ওসি আরও জানান, ওই বাসার পাশেই মাটি খুঁড়ে লাশ গুলো বস্তাবন্দি করে চাপা দেওয়া হয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় নিহত লামিয়ার স্বামী মো. ইয়াসিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ ভ স
স্থানীয়রা জানান,খন্ডিত হাত দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ইটের শুরকির নিচ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় স্বপ্না ও লামিয়ার মাথা এবং পা বিচ্ছন্ন অবস্থায় লাশ দুটি উদ্ধার করে। আরেকটি বস্তায় শিশু লাবিবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের বোন মুনমুন লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিচয় নিশ্চিত করেন। তখন এলাকাবাসী সন্দেহজনকভাবে ইয়াসিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
নিহতের বড় খালা শিরিন বেগম বলেন, আমার বোনের মেয়েরা বাবা-মা হারা। লামিয়া প্রেম করে বিয়ে করে একটি সন্তানের মা হয়ে সংসার করে যাচ্ছে। আর তার বড় বোন স্বপ্না ছিলো মানসিক ভারসাম্যহীন। চারদিন যাবত তাদের খোঁজ পাচ্ছিলাম না। আজ এসে দেখি আমার বোনের মেয়েরা নিহত।
নিহতদের বোন মুনমুন জানান, লামিয়ার স্বামী ইয়াসিন ঈদের তিন দিন আগে জেলখানা থেকে ছাড়া পায়। ইয়াসিন মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এ বিষয়ে প্রায় সময়ই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো। তার দুই বোন এবং ভাগিনাকে ইয়াসিনই হত্যা করেছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী বলেন, ধারনা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। নিহত লামিয়ার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। *****