* রাষ্ট্রপতিকে ৪২ বিশিষ্ট নাগরিকের আবেদন
মিরর বাংলাদেশ :
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক দুর্নীতি, অনিয়মের সাথে জড়িত, অসদাচরণকারী, সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের রক্ত ও বঙ্গবন্ধুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনেছেন দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে এই ইসিকে অপসারণে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে দেশে বিশিষ্ট নাগরিকগণ চিঠি দিয়ে দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেছেন, গত ২০১৭ সালের ফেব্রæয়ারীতে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এই ইসি যা করেছে তা গুরুতর অসদাচরণ। সাংবিধানিক পদে থেকে যেসব অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছে তা অতীতের সব রেকর্ডকে হার মানিয়েছে। সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত যদি তাদের আত্মসম্মানবোধ থাকে তাহলে তারা তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে বিশিষ্ট নাগরিকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর বঙ্গভবণে রাষ্ট্রপতির দফতরে বিশিষ্ট নাগরিকদের দাবি সম্বলিত চিঠি দেয়ার পর শনিবার ওয়েবিনারের মাধ্যমে নাগরিকসমাজ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির কাছে তাদের সেই দাবিগুলো প্রকাশ করেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে দেয়া চিঠিটি পড়ে শোনান সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) দিলীপ সরকার। ওয়েবিনারে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন, সুজন সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদিউল আলম মজুদমার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক সচিব আবদুল লতিফ মন্ডল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এই ইসির উচিত পদত্যাগ করা। তারা মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের রক্ত, বঙ্গবন্ধু ও সংবিধানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন যেভাবে অনিয়ম করছে তা অতীতের সব রেকর্ডকে ভঙ্গ করেছে। সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানকে বর্তমান কমিশন অবমাননা ও কলঙ্কিত করেছে। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের উচিত পদত্যাগ করা। নিজেদের আত্মসম্মানবোধের পরিচয় দেয়া।
আবদুল লতিফ মন্ডল বলেন, বিশিষ্ট নাগরিকদের এই চিঠি নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবেন পরামর্শের জন্য। কিন্তু বাস্তবে যা দেখেছি সেটা আদৌ প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে কিনা? তাই উচিত হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও এই ধরনের দাবি ও অনুরোধ সম্বলিত চিঠি আমাদের পৌছানোর ব্যবস্থা করা।
ড. শাহদীন মালিক বলেন, গত ২০১৭ সালের ফেব্রæয়ারীতে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এই ইসি যা করেছে তা গুরুতর অসদাচরণ। তারা আর্থিক অনিয়মও করেছে। রাষ্ট্রপতি এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে তাদেরকে অপসারণ করতে পারেন।