দেশ বা গণবিরোধী কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করলে দাঁতভাঙা জবাব —-ওবায়দুল কাদের

487

মিরর বাংলাদেশ : বিএনপি দেশ বা গণবিরোধী কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘গণবিরোধী ও দেশবিরোধী কোনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তার দাঁতভাঙা জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই শপথ গ্রহণ করছি।’ শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমÐলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর এক সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পদাধিকারবলে তিনি সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক ও অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি; সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন; দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান; কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অন্যরা। এছাড়া ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা জানেন, রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের গভীর ষড়যন্ত্রের তথ্য উদঘাটন করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মধ্যে তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট কখনোই জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করতে চায় না। সবসময় ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে আস্থা স্বাধীনতাবিরোধী এই অপশক্তির। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের ভালোবাসা, আশা-আকাক্সক্ষা ধারণ করে এবং কাজেকর্মে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়। আওয়ামী লীগ কখনোই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে না, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বরদাশত করে না। কিন্তু বারবার আওয়ামী লীগই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট নেত্রী বেগম জিয়া দুর্নীতির দায়ে দÐপ্রাপ্ত একজন আসামি। করোনা মহামারির সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবোর্চ্চ মানবিকতা ও উদারতার পরিচয় দিয়ে তার জামিনে মুক্তির ব্যবস্থা করেছেন। এই মানবিকতা বা উদারতাকে বিএনপি দুর্বলতা মনে করলে ভুল করবে। যদিও জনগণের প্রতি আস্থাহীন হয়ে বিএনপি নেতারা বারবার ভুল করে আসছে বলেই তারা জনগণ দ্বারা প্রত্যাখাত হয়েছে। করোনা মহামারির এই সময়েও তারা জনগণের পাশে না থেকে অবৈধ পথে চোরাগলিতে ক্ষমতায় আসার জন্য ষড়যন্ত্রের অলিগলি খুঁজে বেড়াচ্ছে। দুঃস্বপ্নে তারা বিভোর হয়ে আছে।
সভার আলোচনা শেষে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
দলের সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। ২১তম জাতীয় সম্মেলনের আগে-পরে ৩১টি সাংগঠনিক জেলার কাউন্সিল শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের একটু দেরি হয়েছে। তবে অধিকাংশ পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রীয় দফতরে জমা পড়েছে। আমি একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, যে কমিটি গঠনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সভায় আমাদের নেত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই নির্দেশনা মেনেই আমাদেরকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে। দলের দুঃসময়ে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে। হঠাৎ করে কেউ দলে এলেই তাকে নেতা বানাতে হবেÍ এমন কোনো কথা নেই। আর সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে কোনো অবস্থাতেই অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে আমি আবারও নেত্রীর নির্দেশে আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আটটি বিভাগের জন্য আটটি টিম সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুত করে আমরা নেত্রীর কাছে জমা দিয়েছি। তিনি অনুমোদন দিলে এই টিমগুলো আটটি বিভাগে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভা আগামী ৩ অক্টোবর গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতির সভাপতিত্বে আহ্বান করা হয়েছে।