মিরর বাংলাদেশ : নপ্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটি(এডহক)’র প্রধানের ও দ্বন্ধে ধংসের মুখে দাপা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচিত কোন পরিচালনা কমিটি না থাকায় শিক্ষকদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে দ্বিধাবিভক্তি। শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে অভিভাবকদের মধ্যে। নানামুখী দ্বন্দ্বে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পরার কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং এডহক কমিটির আহবায়কের মধ্যে দেখা দিয়েছে সমন্বয়হীনতা।
এডহক কমিটির প্রধানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব। সেই অভিযোগ তদন্তে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম। কথা বলেছেন শিক্ষক,কর্মচারীদের সাথে।
এদিকে, বিদ্যালয়ের চলমান অবস্থা নিয়ে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দাবি উঠেছে ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীঠ রক্ষার। এ ব্যাপারে শিক্ষা বিভাগে সংশ্লিষ্টদের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। সূত্রমতে, নানামুখী সংকটে দীর্ঘদিন ধরে ফতুল্লার দাপা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পরেছে। স্কুল পরিচালনা কমিটি না থাকা, শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলিসহ নানা সমস্যা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই বিদ্যালয়।
এডহক কমিটির মাধ্যমে এই বিদ্যালয় পরিচালনা করলেও এডহক কমিটির প্রধান আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে রয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা,৩২ মাস ধরে শিক্ষকদের বেতন না দেয়া, বিধি বর্হিভূত বহিস্কারসহ নানা অভিযোগ। তাঁর দায়িত্বহীনতার কারণে বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভেঙে পরেছে এমন অভিযোগ শিক্ষক, কর্মচারীদের। বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য দীর্ঘদিন নির্বাচিত কোন কমিটি নেই, অভিভাবকদের ভোটে পরিচালনা কমিটি হলেও সে কমিটি দায়িত্ব নেয়ার আগেই ভেঙে দেয়া হয়েছে। এরপর থেকেই আবুল কাশেম বিদ্যালয়ের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। মোস্তফা কামালকে প্রধান করে এডহক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ভেঙে পুনরায় আবারও এডহক কমিটি গঠন করা হয়। আবুল কাশেম এডহক কমিটির প্রধান হয়ে নানা ধরনের স্বেচ্ছাচারিতায় লিপ্ত হয়েছেন এমন অভিযোগ শিক্ষকদের।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে এসে তদন্ত করে গেছেন। অপরদিকে স্কুলটির প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে স্কুলেরই এক কর্মচারীকে বলৎকারের অবিযোগ। এ বিষয়ে মামলা ও হয়েছিলো জেল ও খেটেছিলো। তাছাড়া এডহক কমটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূবেই সে অতি গোপনে অবৈধ উপায়ে অপর একটি এডহক কমিটি গঠন করে বোর্ড থেকে নিয়ে আসে। যা জানতে পরে পরবর্তীতে স্থগিত করে প্রধান শিক্ষকের আনা এডহক কমিটি। তাছাড়া ও তার বিরুদ্ধে রয়েছে স্বেচ্ছাচারিয়তা সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, শিক্ষক,এডহক কমিটির সদস্য, সাবেক সভাপতি সকলের সাথে কথা বলেছি।লিখিত বক্তব্য নিয়েছি। সকল কিছু পর্যাচালোনা করে তিনি লিখিত ভানে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন। তদন্ত করে তিনি একটি বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে বর্তমান পরিস্থিতি জন্য এডহক কনিটি এবং প্রধান শিক্ষকের অতিমাত্রার বাড়াবারি কেই দায়ী মনে করছেন।