ছবি : মশিউর রহমান
মিরর বাংলাদেশ : সদ্য প্রয়াত তিন সাংবাদিককে নিয়ে বাস্তবধর্মী ও আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক, দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক মশিউর রহমান। স্ট্যাটাসে তিনি ডিআরইউর সদস্যদের জন্য ইনসুরেন্সের প্রথম ও প্রধান উদ্যোক্তা ও বাস্তবায়নকারী সাবেক সভাপতি জনাব সাখাওয়াত হোসেন বাদশার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মশিউর রহমান লেখেন, বাদশা ভাইয়ের করে যাওয়া ইন্সুরেন্স এখন মারা যাওয়া সাংবাদিক পরিবারের সম্বল।
সিনিয়র সাংবাদিক মশিউর রহমানের ফেসবুক স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো
“মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। এ যাবত যে তিনজন সাংবাদিক মারা গেলেন তারা তিনজনই রিপোর্টার। বলা হয়, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। কিন্তু তাদের তিনজনের ক্ষেত্রেই দেখা গেল কেউই মনে হয় করোনা নিয়ে সচেতন ছিলেন না। তাহলে কেনই বা তারা নিজে হাসপাতালে গিয়ে টেস্ট করানোর চেস্টা করেননি।
ছবি : প্রয়াত আসলাম রহমান
নিজেকে মনে হয় সবার উর্ধে মনে করেন সংবাদকর্মীরা। এ পেশায় এলেই মনে করেন তারা অনেক উচু স্তরের কেউ। অথচ মারা যাবার পর তাদের পরিবার পরিজন যে কত অসহায় হয় তা কেউই জানে না। বাদশা ভাই যখন ডিআরইউতে ইন্সুওরেন্স চালু করলেন তখন কত সদস্য যে সমালোচনা করেছিলেন …আমি শুনেছি নিন্দুকেরা বলাবলি করেছে…
ছবি : প্রয়াত মাহমুদুল হাকিম অপু
কত টাকা কমিশন খেলেন বাদশা ভাই,,,কি স্বার্থ আপনার? আজ বাস্তবতা হচ্ছে মারা যাবার পর সেই ইন্সুরেন্স একমাত্র সম্বল ঐ পরিবারটির। বাদশা ভাই মৃত সদস্যদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি চালু করে গেছেন। কেউ কি জানেন এই শিক্ষা বৃত্তির টাকা কত উপকারে আসে একজন এতিম সন্তানের।
ধন্যবাদ বাদশা ভাই.অশেষ কৃতজ্ঞতা আপনার জন্য। .মাত্র এক সপ্তাহের ব্যধানে তিনজন সহকর্মীকে হারিয়েছি।
ছবি : প্রয়াত হুমায়ুন কবির খোকন
তিনজনেরই দুজন করে সন্তান আছে পরিবারে। পরিবারে তাদের কোন উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নেই। ডিআরইউ সদস্য ভাইদের অনুরোধ করে বলব নিজের সম্পর্কে পরিবার সম্পর্কে সচেতন হউন।