* সাংবাদিক সম্মেলনে ৪দফা দাবী
মিরর প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ :
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের এজিএম প্রত্যাখান করেছে সংগঠনের সাধারন সদস্যরা। পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আগের সরকারের দোসরা পকেট কমিটি করার পায়তারার অভিযোগ এনে শনিবারের এজিএম বয়কট করেছে তারা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) নারায়নগঞ্জের একটি রেষ্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে চেম্বারের এজিএম বয়কটের কথা জানান তারা। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নারায়ণগঞ্জ রিয়েল এস্টেট এন্ড ডেভেলপার্স এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি গোলাম সরোয়ার সাঈদ,এসময় উপস্থিত ছিলেন চেম্বার সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ,নিজাম উদ্দিন, সাহেব উদ্দিন রোমান,গোলাম কবির,ফয়সাল আহমেদ প্রমূখ ।
নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়িদের অভিযোগ, ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর আমাদেও বক্তব্য ছিল ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেন, তাদেরকে কোন হ্যারেজমেন্ট করা যাবে না। তবে যারা ব্যবসার নাম করে বিগত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছেন, দেশের সম্পদ লুটপাট করেছেন,বিগত সরকারের নেতাকর্মীদের অর্থপাচারে সহযোগিতা করছেন, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছেন, তাদেরকে কোনভাবেই ক্ষমা করা হবে না। আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
তারা বলেন, ব্যবসায়ী সংগঠনে ফ্যাসিবাদের প্রেসক্রিপশনে যারা এতদিন দখল করে রেখেছিল তাদেরকে দায়িত্বে রাখা যাবে না। ব্যবসায়িক সংগঠনগুলিতে ব্যবসায়ীদের দ্বারা ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকে নেতা তৈরি করতে হবে। আমাদের এই উদারতার সুযোগ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির পদ থেকে কাজল সাহেব পদত্যাগ করার পরে অতি চাতুর্যতার সাথে ফ্যাসিবাদের দোসর সোহেল গং মাসুদুজ্জামানকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোঅপট করেন।
ব্যবসায়িদের অভিযোগ , প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে মাসুদুজ্জামান সাহেব কি নিজেকে সুপারহিরো ভাবতে শুরু করেছেন। তিনি স্ট্যান্ড বাজিতে শামীম ওসমানকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি আগস্ট বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য স্ট্যান্ডবাজি করে যাচ্ছেন কেনো?
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করলেন কে বা কারা তার কাছ থেকে আট লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়ে গেছে। তিনি সেই টাকা ফেরত চাইলেন এবং কিছুদিন পরে পুনরায় সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করলেন চাঁদাবাজির টাকা তিনি উদ্ধার করেছেন। অথচ তিনি চাঁদাবাজদের নাম ঠিকানা কিছু বলেনি। তার এই বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জবাসী এবং ব্যবসায়ী মহল বিস্মিত হয়েছে । যার প্রমাণ তার বক্তব্যের লিঙ্ক এ গিয়ে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখলে বুঝতে পারবেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন, মাসুদুজ্জামান আওয়ামীলীগের ঘনিষ্ঠ লোক ছিলেন, স্বৈরাচারের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন । যার পুরস্কার স্বরূপ শেখ হাসিনার সরকার তাকে সিটিজেন ব্যাংক উপহার দিয়েছে। তিনি কত কোটি টাকা শেখ পরিবারকে দিয়েছেন এইটা নারায়ণগঞ্জবাসি জানতে চায়। স্বৈরাচার সরকারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তিনি গত ১৬ বছরে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন, এই বিষয়টি সরকারকে দেখতে হবে। সেই সাথে তাকে প্রমাণ করতে হবে কাকে তিনি চাঁদা দিয়েছেন এবং কে ফেরত দিয়ে গেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে চার দফা দাবি জানানো হয়
১. মাসুদুজ্জামান সহ নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর পূর্ণাঙ্গ বোর্ড পদত্যাগ করতে হবে।
২. বিএনপির মহানগর কমিটি এবং জেলা কমিটিকে নারায়ণগঞ্জ বাসির সামনে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিতে হবে, চাঁদাবাজির টাকা তারা নিয়েছে কিনা?
৩. জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র জনতাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের কিভাবে মূল্যায়ন করবে?
৪. সেহেতু নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর মালিক সকল সাধারণ সদস্যবৃন্দ তাই সাধারণ সদস্যদের প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে যদি ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মা দখল দারিত্ব করতে চায় তাহলে সাধারণ সদস্যরা প্রতিরোধ করবে এবং এর দায় প্রশাসনকে নিতে হবে