নারায়ণগঞ্জের সেই শহীদ চেয়ারম্যান আর নেই

822

মিরর প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ  :

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের রহস্য উদঘাটনের মুলনায়ক সেই শহীদ চেয়ারম্যান
আর নেই। ইন্না-লিল্লাহ ওইন্না এলাহি রাজেউন।

শুক্রবার বিকালে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ৭ খুনের ঘটনায় তখনকার র‍্যাব ১১ এর অধিনায়ক তারেক সাইদসহ অন্যান্য র‍্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রথম গর্জে উঠেছিলেন তিনি। তার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে সেদিন বেরিয়ে আসে ৭ খুনের সাথে তখনকার র‍্যাবের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা।শহীদ চেয়ারম্যান একাধারে খুনের শিকার কাউন্সিলর নজরুলের শশুর।

শহীদুল ইসলাম চেয়ারম্যানের বড় ছেলে নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জানায়, আমার বাবার শুক্রবার সকাল থেকে আমাশয় হচ্ছিল। শরীরের অবস্থা অবনতি হলে বাবাকে আমরা ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ, পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম। নিহত নজরুল ইসলামসহ ৭ খুনের বিচারের দাবীতে উত্তাল ছিলো ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক। তখন ন্যায় বিচারের দাবিতে মূল ভূমিকা পালন করে সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এই চেয়ারম্যান ।