মিরর বাংলাদেশ : প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ভূখন্ডকে নিজেদের বলে দাবি করে নেপালের নতুন মানচিত্র প্রকাশের কাজ আটকে গেছে। ওই মানচিত্র প্রকাশে সংবিধান সংশোধনের আলোচনা বুধবার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আগেই তা স্থগিত হয়ে যায়। পরে এই আলোচনা কার্যতালিকার বাইরে চলে গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, পার্লামেন্টে আলোচনা শুরুর আগে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপালের রাজনৈতিক দলগুলো।
সম্প্রতি হিমালয়ের লিপুলেখ পাস এলাকায় ভারত রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিলে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক বিরোধে জড়ায় নেপাল। বিতর্কিত সেই ভূখন্ডকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় নেপালের মন্ত্রিসভা। ওই মানচিত্র কার্যকরে গত ২২ মে পার্লামেন্টে সংবিধানে সংশোধনীর প্রস্তাব তোলে নেপালের সরকার।
নেপালের সংসদ সচিবালয় প্রকাশিত কার্যতালিকায় দেখা যায়, বুধবার বেলা দুইটায় ওই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শুরুর কথা ছিল। তবে তার আগেই ওই আলোচনা স্থগিত করা হয়। প্রস্তাবটি সংশোধনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হওয়ায় তা জোগাড়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি। তবে প্রস্তাবিত ওই সংশোধনীতে নিজেদের দাবি যুক্ত করতে সরকার পক্ষের ওপর চাপ জোরালো করে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো।
নেপালের জনতা সমাজবাদী পার্টির এক সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম আমাদের দীর্ঘদিনের দাবিও যুক্ত করা হোক। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও সন্তোষজনক উত্তর পাইনি। এর বদলে প্রধানমন্ত্রী ওলি (মানচিত্র প্রকাশ) এটিকে পুরোপুরি জাতীয় আবেগ সংক্রান্ত ইস্যু বলে অভিহিত করেছেন।’
নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। কিন্তু পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের মাধ্যমে সংবিধানে সংশোধনী আনতে গেলে দলটির অন্য দলের সমর্থন প্রয়োজন। সেখানে প্রায় দশটি আসন কম রয়েছে কমিউনিস্ট পার্টির।