পতিত স্বৈরশাসকের নানা অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করুন : তথ্য উপদেস্টা

55

* সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে বৈঠক
মিরর বাংলাদেশ  দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যা সঠিকভাবে প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ট্রাম্প সমর্থক হিসেবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে। আমাদের দেশের সংবাদমাধ্যম এ বিষয়টি নিয়ে তেমন কিছু করেনি। সত্যটা তুলে ধরার প্রয়োজন আছে। দেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গুজব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কাজ করার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সম্পাদক এবং তাদের প্রতিনিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, দ্য ডেইলি স্টার বাংলার সম্পাদক গোলাম মোর্তজা, প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা এ সময় বক্তব্য দেন। এছাড়া নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আব্দুল্লাহসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারজানা মাহবুব।
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, জনগণের কাছে সঠিক ও নিরপেক্ষ তথ্য না পৌঁছানো হলে নানা রকম গুজব ছড়ায়। সঠিক তথ্য পৌঁছানোর জন্য সব সরকারই গণমাধ্যমের উপর নির্ভরশীল। বর্তমান সরকারের সেই নির্ভরশীলতা আরও বেশি। আমরা আশা করবো গণমাধ্যম সঠিক সংবাদ তুলে ধরবে।
সরকারের যেকোনো ধরনের সমালোচনাকে আবারও স্বাগত জানিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা নির্ভয়ে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করুন। সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে। কিন্তু ভুল সংবাদ পরিবেশন হলে সেটা সরকারের জন্য এবং দেশের জন্য ক্ষতিকর। আমরা আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাই।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অনেক সাংবাদিক সমর্থন ও সহায়তা করেছেন। তাদের কেউ কেউ এখন তার মিডিয়া হাউজে নানাভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। এখানে অনেকে ব্যক্তিগত শত্রুতাকে কাজে লাগাচ্ছেন। এটা শুধু গণমাধ্যম নয় প্রশাসন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও হচ্ছে। আমরা চাই সাংবাদিকদের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো সাংবাদিকেরা নিজেরাই সমাধান করুন। যাতে সরকারের এখানে হস্তক্ষেপ করতে না হয়।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে বেশি বেশি সংবাদ পরিবেশন করুন। সেই সময়ের ঘটনা তুলে ধরুন। এতে বিচার কাজে তথ্য পেতে সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, পতিত স্বৈরশাসকের নানা অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য ওই সময় আপনারা প্রকাশ করতে পারেননি। এখন সেগুলো বেশি করে প্রকাশ করুন। বিশেষ করে ৫ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত অনেক তথ্য ও নথি গোপন করা হয়েছে। আপনারা সেই বিষযগুলো তুলে ধরুন।
সভায় সাম্প্রতিক সময়ে তিন দফায় সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়টি সরকারকে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান সম্পাদকেরা। পাশাপাশি গণমাধ্যমের নানা সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরেন তারা। *****