ছবি :নিহত রফিকুল ইসলাম
মিরর প্রতিনিধি বগুড়া :
বগুড়ার সোনাতলায় নিখোঁজের ১১ মাস পর বস্তাবন্দী লাশের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরকীয়া প্রেমের জের ধরে স্ত্রী ও তার প্রেমিক, ছেলে ও ভাগিনা ওই ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে রেললাইনের পাশে পুঁতে রেখেছিলেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত চার ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে।
স্থানীয় লোকজন ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রানীরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিম ওরফে দুদু মিয়ার পুত্র মরিচ ব্যবসায়ী মোঃ রফিকুল ইসলাম ২০১৯ সালের ১৫ জুন নিখোঁজ হয়েছে বলে ১৫ দিন পর ১ জুলাই সোনাতলা থানায় একটি জিডি করেন রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম ।
এরপর তারা দু’জন (মহিদুল ও রেহেনা) মিলে রফিকুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ১৪ জুন হাট থেকে মরিচ বিক্রি করে রাতে বাড়ি ফেরেন রফিকুল ইসলাম। পরিকল্পনা মতো খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে রাতে খাবার দেন স্ত্রী রেহেনা বেগম। রফিকুল খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লে অচেতন হয়ে পড়েন। এ সুযোগে স্ত্রী রেহেনা বেগম, তার বোনের ছেলে শাকিল হোসেন ও পরকীয়া প্রেমিক মহিদুল ইসলাম মিলে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন।
এরপর গভীর রাতে রফিকুল ইসলামের লাশ বস্তাবন্দী করে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে নয়াপাড়া সেতুর ভাটি নামক স্থানে রেল লাইন-সংলগ্ন মহিদুল ইসলামের নিজের ধানের জমির এক কোণে পুঁতে রাখেন।
দীর্ঘদিন সোনাতলা থানা পুলিশ ওই ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি অনুসন্ধান চালায়। এর একপর্যায়ে গত ১৩ মে নিহত ব্যক্তির শ্যালিকা ও একই উপজেলার তেকানীচুকাইনগর ইউনিয়নের দাউদেরপাড়া গ্রামের আব্দুল করিমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৭) বড় বোনের বাড়ি ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজে সহযোগিতা করার জন্য দক্ষিণ রানীরপাড়া গ্রামে আসেন। সেখানে ২-৩ দিন অবস্থান করার একপর্যায়ে ব্যাগের মধ্যে রেখে মোবাইল ফোনটি চার্জ দেয়ার পর বৈদ্যুতিক সকেটে লাগান। এ সময় খালার ব্যাগে বাবার উইনম্যাক্স মোবাইল ফোনটি দেখে ফেলেন ভাগিনা।