: পারভেজ বাবুল, কবি ও সাংবাদিক :
বাংলাদেশের সবগুলো গার্মেন্টস ফ্যা ক্টরী লাভে আছে, কোনোটাই লোকসানে নাই। তারপরও বকেয়া বেতনের জন্য শ্রমিকদের আন্দোলন করতে হয় কেনো? বকেয়া বেতনের দাবীতে শ্রমিকদের অবস্থান ধর্মঘট, সড়ক অবরোধ ইত্যায়দি বিশ্বের “বায়ার” / Buyer দের কাছে নেতিবাচক বার্তা পৌছে দেয়। তাই গার্মেন্টস মালিকদের উচিত হবে কর্মীদের নিয়মিত বেতন বোনাস পাওনা পরিশোধ করা।
গার্মেন্টস শিল্পে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আছে। যেমন বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের “অর্ডার” / Order বাতিল করিয়ে অন্য কোনো দেশ নেয়ার জন্য ওৎপেতে থাকে। তাদের দুরভিসন্ধিমূলক কুকর্ম চরিতার্থ করতে শ্রমিক অসন্তোষকে কাজে লাগায়। বিষয়টা তারা ক্রেতা বা বায়ারদের কাছে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে।
সেই আন্তর্জাতিক চক্রের এজেন্ট হিসেবে দেশের কিছু ধান্দাবাজ কাজ করে। তাই সে সব বিষয় আমলে নিয়ে গার্মেন্টস মালিকদের উচিত নিয়মিত কর্মীদের সকল পাওনা পরিশোধ করা। কর্মী- বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ও বজায় রাখা
কর্মীরাই গার্মেন্টস শিল্পের চালিকা শক্তি। তাই মালিক – শ্রমিক সম্পর্ক হতে হবে কর্মী-বান্ধব /Workers Friendly শ্রমিক কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মীদের সঙ্গে মালিক পক্ষ-প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক ভালো থাকলে উৎপাদন বাড়ে। তাতে উভয়ের মাঝে আত্নতৃপ্তিসহ সত্যডকিারের WiN-WIN siluation তৈরী হয়।
করোনাকালের পরে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব গার্মেন্টস শিল্পেও পড়বে। তাই এখনি সময় গোটা বিশ্বে আমাদের ক্রেতা / Buyer ধরে রাখা এবং ক্রেতা বা বায়ারের সংখ্যাা বাড়ানো। তাতে মালিক- শ্রমিক উভয়েরই লাভ হবে। ক্রেতা বা বায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গার্মেন্টস শিল্পের ইতিবাচক ভাবমূর্তি /poslive image বাড়াতে হবে। শ্রমিক অসন্তোষ নেতিবাচক ভাবমূর্তির জন্ম দিয়ে ইতিবাচক ভাবমূর্তি নষ্ট করে। অতএব, বিষয়গুলো হাল্কাভাবে দেখার অবকাশ নেই, বরং গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
শ্রমিকরা ভালো থাকলে মালিক পক্ষের লাভ, প্রতিষ্ঠানের লাভ, দেশের লাভ। তাতে দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় জোয়ার আসে। দেশ উন্নত হয়।
(মতামতটি লেখকের নিজস্ব)