পাপুলকে নিয়ে সরগরম কুয়েত পার্লামেন্ট, স্বরাস্ট্রের কর্মকর্তা ও উচ্চপদস্থ আমলা আটক

403

মিরর বাংলাদেশ  : অর্থ ও মানব পাচারের দায়ে কুয়েতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি এমপি কাজী শহীদ পাপুলের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ মেলায় দু’জন কুয়েতি নাগরিককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগ। তাদের একজন কুয়েতের একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা-ব্যক্তি ও অপরজন পদস্থ আমলা বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার কুয়েতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক আরব টাইমসের এক খবরে বলা হয়, কুয়েতের রাজকীয় আইন অনুযায়ী, দেশটির পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগ গ্রেপ্তার ও আটকের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত।

এদিকে কুয়েতের অপর দৈনিক কুয়েত টাইমস জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনাস আল সালেহ মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এমপি শহীদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

আরব টাইমসের খবরে বলা হয়, এমপি পাপুল এরই মধ্যে কুয়েতের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে তাকে সহায়তার জন্য ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও তদন্তের মাধ্যমে দু’জন কুয়েতি নাগরিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি এমপি’র কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে অপরাধ তদন্ত সংস্থা। এ প্রমাণ পাবলিক প্রসিকিউশন দপ্তরকে দেওয়ার পর সেখান থেকে ওই দু’জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের একজন একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা-ব্যক্তি ও অপরজন পদস্থ আমলা। তবে ওই কর্তা-ব্যক্তিটি কুয়েতের মন্ত্রীদের কেউ কি-না তা স্পষ্ট করা হয়নি প্রতিবেদনে।

কুয়েত টাইমস জানায়, মঙ্গলবার মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশি এমপিকে গ্রেপ্তার ও মানব পাচার জড়িতদের বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই সভায় এমপি শহীদকে গ্রেপ্তারের বিস্তারিত তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনাস আল সালেহ। এতে তিনি এমপি পাপুলকে কুয়েতে রেসিড্যান্স পারমিটধারী একজন ব্যবসায়ী উল্লেখ করে বলেন, ‘এই ব্যক্তি কুয়েতে ব্যবসার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এশিয় অঞ্চলে সবচেয়ে বড় মানব পাচারের ঘটনা ঘটিয়েছেন। তার সঙ্গে কুয়েতি নাগরিকদেরও জড়িত থাকার প্রমাণ আসছে।’

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘এই মানব পাচার দমনে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এ কাজে যে-ই জড়িত থাক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

কুয়েত পার্লামেন্টের  ভিডিওটি দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন