প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স : বাংলাদেশ ন্যাপ

638

মিরর বাংলাদেশ: করোনা মোকাবেলা ও পরবর্তী করণীয় হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষনাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব ও প্রশাসন এবং দায়িত্বশীলদের আন্তরিকা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ব্যাতিত প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা দেশ ও জাতির কোন কাছে আসবে বলে জনগন বিশ্বাস করতে পারে না।

নেতৃদ্বয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।

রবিবার (৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শেষে যে কথাটি বলেছেন, ‘সুযোগ সুবিধা দিলাম কিন্তু যেন এটার অপব্যবহার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে’ তার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা বাস্তবায়ন ও তার সুফল যাতে জনগন পায় তার জন্য প্রয়োজন কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা। যাতে করে এই সুযোগ সুবিধা সঠিকভাবে কাজে লাগে, সেভাবে যেনো বিতরণ করা হয়। যে কারণে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে সেটা যেন সঠিকভাবে কার্যকর হয়, জনগণের কাজে আসে, ব্যবসায়ীরা যাতে স্বস্তি পান সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে।

তারা বলেন, সরকারের এই প্রণোদনা যাতে অপব্যবহার না হয়, জনকল্যাণে ও ব্যবসায়ীদের কাজে লাগে সেদিকে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা না করলে প্রণোদনার অর্থ লুটেরাদের পকেটস্থ হলেও জনগন এর সুফল ভোগ করতে পারবে না।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে দেশবাসীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে, সরকারের কর্মহীনদের খাদ্য প্রদানের কর্মসূচি প্রকৃতপক্ষে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। যেটুকু করা হচ্ছে তার মধ্যেও স্থানীয় সরকারী দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের আত্মসাতের খবর বেরিয়ে আসছে। আর এসকল অনিয়মের খবর প্রকাশের কারণে দুর্নীতিবাজদের হামলার শিকার হয়েছেন গণমাধ্যম কর্মীরা। তাদের দুর্নীতির ফলে শ্রমজীবী-কর্মহীন মানুষের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি ঘোষণা বাস্তবায়িত না হওয়ায় মানুষ হতাশ হচ্ছে। জীবন-জীবিকার তাগিদেই শ্রমজীবী মানুষ ঘরে থাকার নির্দেশ মানতে পারছে না। শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে করোনা ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলছে।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনায় কৃষকের ভুর্তকির বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে। আমরা মনে করি করোনা মহাদুর্যোগ মোকাবেলায় কৃষিতে মাঠের চলতি ফসল ঝুঁকিমুক্তভাবে উৎপাদনের জন্য কৃষকদের উৎপাদন খরচ সরাসরি মাঠ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ভুর্তকি দেওয়া জরুরি।

তারা বলেন, সমস্যা হলো বাংলাদেশে যে কোনো জনকল্যাণমূলক কাজ বাস্তবায়নে জটিলতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। সুস্পষ্ট নীতিমালা নেই বলেই তা হয়ে থাকে। দ্রুত সময়ে এর একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রনয়ন করা উচিত। অন্যদিকে ঋণ সুবিধা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নানা ধরণের জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ব্যাংগুলোতে সুশাসনের অভাবের কারণেই তা হয়ে থাকে। যখন যার যেটা পাওয়ার দরকার সেটা সে না পেয়ে অন্যজন পেয়ে যাচ্ছেন। যেভাবে পাওয়া দরকার সেভাবে পাচ্ছেন না। যে সময় দরকার ওই সময়ে পাওয়া যাচেছ না।

নেতৃদ্বয় উপরোক্ত বিষয়গুলো প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন অত্যান্ত জরুরি। তানা হলে প্রণোদণার উদ্দেশ্য অধরাই থেকে যাবে।