মিরর বাংলাদেশ: দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকা সিনিয়র ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের সন্ধান পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে যশোরের বেনাপোল পুলিশ কাজলের সন্ধান দিয়েছেন তার পরিবারের কাছে।
ইতোমধ্যে ফটোসাংবাদিক কাজলকে নিয়ে আসার জন্য যশোরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। গত ১০ মার্চ থেকে হঠাৎ করে নিখোঁজ হন ফটো সাংবাদিক কাজল।
এনিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি সাবেক সিনিয়র রিপোর্টার শাহাবুদ্দিন চৌধুরী তার ফেসবুকে লিখেছেন
বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিকতা দিবসের প্রথম সকালে এর চেয়ে আনন্দের আর কোন সংবাদ হতে পারে না! আলোচিত চিত্রসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের সন্ধান মিলেছে! শনিবার দিবাগত রাত দুইটায় বেনাপল পুলিশ থেকে তার পরিবারকে ফোন করা হয়। পরিবারের সাথে তার কথাও হয়েছে। তারা কাজলকে আনতে যশোরে রওয়ানা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। গত ১০ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিকতা দিবসে সকল সংবাদকর্মীদের জন্য অফুরান শুভেচ্ছা। করোনা মুক্ত বাংলাদেশে দেখা হবার অপেক্ষায়! সবাই ভালো থাকুন।
প্রসঙ্গত, গত ৯ মার্চ মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান ও শফিকুল ইসলাম কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর। পরদিন ১০ই মার্চ থেকে নিখোঁজ রয়েছেন সাংবাদিক কাজল।তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত পক্ষকাল ম্যাগাজিনের সম্পাদক।
গত ১৩ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে কাজলের স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী বলেন, শফিকুল গত মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে হাতিরপুলে তাঁর পত্রিকার কার্যালয়ে যাওয়ার কথা বলে পুরান ঢাকার বকশি বাজারের বাসা থেকে বের হন। এরপর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁর দুটি মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে এক ব্যক্তি শফিকুলের ফেসবুকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আসামি হিসেবে শফিকুলসহ কিছু ব্যক্তির তালিকা পাঠান। বিষয়টি জানতে পেরে পরদিন গত বুধবার তিনি এ ঘটনায় চকবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি আরও বলেন, শফিকুলকে নিয়ে তাঁরা দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে তাঁকে খুঁজে বের করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে কোনো বিষয় নয়। শফিকুলের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না বলে জানান তাঁর স্ত্রী।