মিরর বাংলাদেশ :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলের ড্রামবাহী ট্রলারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসময় তেলের ড্রামগুলোতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার
কাজ শুরু করে।
এদিকে আগুনের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম,ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আজম মিয়া,নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টায় মেঘনা ডিপোর জেটি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এসময় সবগুলো তেলের ড্রাম বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের শব্দে আশেপাশের মসজিদ, বাসাবাড়ি, সংলগ্ন থানা ও আশেপাশের এলাকা কেঁপে উঠে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
মেঘনা ডিপোর ডিএস জিয়াউর রহমান জানান, এই ট্রলারে করে তেল নিয়ে তারা ভোলার মনপুরায় যাবে। কিন্ত দুপুরে রান্না করার সময় তেলা বাহী ট্রলারটিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রলারে থাকা পেট্রোল, ডিজেলের ড্রামগুলো বিস্ফোরিত হয়।
ডিপো সংশ্লিষ্টরা জানান, ট্রলারের ভেতরে ৪ জন ছিল। তারা ভেতরে রান্না করছিল। এসময় সেখান থেকে হয়তো এ ঘটনা ঘটেতে পারে। এর মধ্যে একজন পাড়ে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ আছেন।
জানা যায়, ট্রলারটিতে ৮৬ ড্রাম পেট্রোল ও ৭০ ড্রাম ডিজেল ছিল। প্রায় সবগুলো তেলবাহী ড্রাম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিস্ফোরণ হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন জানান, আমরা খবর পেয়েছি, দ্রুত ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।
ঘটনাস্থলে আসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিদারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আমরা ডিপোর সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি। আমরা যতটুকু জেনেছি ট্রলারটিতে ডিজেল ও পেট্রোল লোড করা ছিল। এসময় তেলের ড্রামবাহী ট্রলারে ৪ জন শ্রমিক রান্না করছিল বলে শুনেছি। হয়তো সেখানে থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। একজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, বাকি ৩ জনের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা।
