* হত্যা মামলার আসামীকে আটকের পর ছিনতাই
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
ফতুল্লার কুতুব আইলে আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িতে পলাতক ক্যাডারদের আশ্রয় দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফতুল্লা থানা পুলিশ মামলার আসামী আওয়ামীলীগ ক্যাডারদের গ্রেফতারে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে। সর্বশেষে বৃহস্পতিবার একটি হত্যা মামলার আসামীকে আটকের পর পুলিশের নিকট থেকে ঐ আসামীকে ছিনিয়ে নিয়েছে আওয়ামীলীগের ঐ ক্যাডাররা। তবে অপরাধীদের গ্রেফতারে শনিবারও নজরধারী বাড়িয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায় , গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর শামীমওসমানসহ অনেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসী নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যায়। বেশে কিছু দিন আাত্নগোপনে থাকার পর অনেকে গোপনে নারায়ণগঞ্জে ফিরতে শুরু করে। ফতুল্লা সহ আশপাশ থানা এলাকা এমন কি রাজধানী ঢাকার ও বেশ কিছু হত্যা মামলার আসামী ফতুল্লার কুতুবআইলস্থ আওয়ামীলীগ নেতা আক্তার সুমনের বাংলো বাড়ীতে আনোগোনা বাড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায় । এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর আক্তার সুমন ও যুবলীগ ক্যাডর ওলা মাসুদের নেতৃত্বে বিএনপির মিছিলে গুলি চালানো ঘটনা ঘটে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে রতন নামের এক হত্যা মামলার আসামী আক্তার সুমনের বাড়ী থেকে বের হয়ে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়ার মূহুর্তে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে রতনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসতে চাইলে আক্তার সুমনসহ তাদের বাড়ীতে এবং কারখানায় আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যদের বাধা প্রদানসহ টেনে হিচড়ে কারখানার ভিতরে নিয়ে গিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং পুলিশ সদস্যদের কে লাঞ্চিত করে। পরে সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের কে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তবে হত্যা মামলার আসামী রতনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আক্তার চক্র এখানে থেকেই এমন কান্ড ঘটিয়েছে । আমরা উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই আসামীকে ফ্যাক্টরীর ভিতর থেকে আনা যায় নাই। তাকে ছেড়ে দিয়ে আমাদের পুলিশ সদস্যদের সুস্থ্য অবস্থায় নিয়ে আমরা ফিরে এসেছি । তবে এই আসামীকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে দৃঢ়তার সাথে বলেন ওসি শরিফুল ইসলাম ।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায় ,আক্তার-সুমনদের বাড়ীর ভিতর থেকে প্রতিদিনই অপরিচিত মুখ দেখা যায়। কেউ বাসার ভিতরে প্রবেশ করছে কেউ বা আবার বের হয়ে বিভিন্ন দোকানে বসে চা -নাস্তা খেয়ে আবার বাসার ভিতরে চলে যাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে প্রায় সময় কালো গ্লাসের হাইস,নোয়া গাড়ী বাংলো বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে। আবার দু,চার,দশ মিনিটের মধ্যেই দ্রুত বের হয়ে যায়।শুক্রবার রাত নয়টার দিকেও একটি সাদা রংয়ের কালো গ্লাসযুক্ত হাইস মাইক্রোবাস বাংলো বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে। ৫-৭ মিনিট পর আবার গাড়ীটি বের হয়ে যায়।