ফুটবল মাঠে এমপি মমতাজ !

693

আদনান খান, মানিকগঞ্জ  : মহামারি করোনায় গৃহবন্দি থেকে সবাই যেন হাঁপিয়ে উঠেছে। একঘেয়ামি কাটাতে যে যেভাবে পারছেন সময় কাটাচ্ছেন। দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজও ভিন্নভাবে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। ঢাকার বাসা থেকে নিজ এলাকা মানিকগঞ্জে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ফুটবল খেলে আর ঘুড়ি উড়াচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ির আঙিনায় গাছও লাগিয়েছেন এমপি মমতাজ।

এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বদ্ধ জায়গায় যত সুযোগ-সুবিধাই থাকুক না কেন, একটা সময় অস্থিরতা আসবেই। বাসার সবাই অস্থির হয়ে গেছে। গ্রামে যেহেতু খোলামেলা জায়গা আছে, ভাবলাম, আমার বাচ্চারা এই খোলামেলা জায়গায় ভালোই থাকবে। তা না হলে মানসিকভাবে তারা আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।’

তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে মিলে ফুটবল খেলছি, ঘুড়ি উড়াচ্ছি। আমার বাড়ির পাশেই নার্সারি, সেখান থেকে ফলের গাছ এনে লাগিয়েছি।

জানা গেছে, রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে থাকেন মমতাজ। করোনাভাইরাসের কারণে এক রকম গৃহবন্দী থেকে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন মমতাজ। মমতাজের সন্তানেরাও চাচ্ছিল শহরের কোলাহল থেকে দূরে যেতে। তাই গত বৃহস্পতিবার মমতাজ চলে যান তার গ্রামের বাড়ি ও সংসসদীয় এলাকা মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে।

১০ জুন সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন মমতাজ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে সংসদ অধিবেশনও ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সব সাংসদের একসঙ্গে থাকতে হচ্ছে না। যেদিন অধিবেশন, তার আগের দিন জানিয়ে দেওয়া হয়। আমাকে জানিয়ে দিলেই চলে যাব, শেষ করে আবার গ্রামে চলে আসব। গ্রামে সন্তানেরা আনন্দে আছে। আমি সেখানে জানার পর এলাকার মানুষেরাও স্বস্তি অনুভব করছে। সাংসদ হিসেবে এমনিতেও এলাকার খবর রাখতে হয়, ভাবলাম এলাকার মানুষের কাছেই থাকি। কোনো কিছু হলেই সবাই ফোনে যোগাযোগ করছেন।’

করোনা পরিস্থিতির শুরুতে এলাকায় যেতে পারেননি মমতাজ। তবে সার্বক্ষণিক এলাকার খোঁজখবর নিয়েছেন, বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন, আমার এলাকায় অসহায় ও অসচ্ছলদের একটা তালিকা তৈরি করে প্রশাসন মারফত সবার বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মাস্ক, গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।