বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের লাশ নারায়ণগঞ্জের সোনারগায়ে দাফন

842

মিরর বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপেন্ট (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের লাশ জন্মস্থান ভোলায় নয়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগায়ের শ্বশুরবাড়ি এলাকায় দাফন করা হয়েছে।
সোনারগাঁয়ের সম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর স্কুলের পাশের কবরস্থানে লোক চক্ষুর আড়ালে দাফন সম্পন্ন করা হয় শনিবার গভীর রাতে ফাঁসি কার্যকর হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি আবদুল মাজেদের।। এখানে তার শ্বশুর বাড়ি।
এরআগে, শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এরপর তার মরদেহ স্ত্রী সালেহা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত ছিল মরদেহ মাজেদের জন্মস্থান ভোলায় দাফন করা হবে। কিন্তু সেখানে দাফন নিয়ে স্থানীয়ভাবে আপত্তি তোলায় মরদেহ নারায়ণগঞ্জে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, মাজেদের দাফন প্রক্রিয়া সম্পর্ণ কেন্দ্রীয় ভাবে করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়নি। সকালে তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে জানতে পেরে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন। খোঁজ নিয়ে তিনি বলেন রাত তিনটায় মাজেদের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে এনে দাফন করে চলে যায়।
দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় কারাগারের ভেতর থেকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় সাদা রঙের একটি প্রাইভেটকারে মাজেদের স্ত্রীসহ স্বজনরা মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে অনুসরণ করতে থাকে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, ১২টা ১৮ মিনিটে কারা ফটকে আসেন মাজেদের স্ত্রী ও কয়েকজন আত্মীয়। পুলিশ তাদের গাড়ি থেকে নামান। এরপর তারা হেঁটে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে মরদেহ হস্তান্তরের জায়গায় দুইজন পুরুষ ও দুইজন নারী গেছেন।

সোনারগায়ে মাজেদের কবর।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক থাকলেও ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রিকশায় ঘোরাঘুরির সময় তাকে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

পরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সিটিটিসি। এরপর মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

৮ এপ্রিল মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আবদুল মাজেদ। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এরপর থেকেই শুরু হয় তার ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া। কারাবিধি অনুযায়ী শুক্রবার তার পরিবারের ৫ জন সদস্য শেষ সাক্ষাৎ করেন। আর আজ রাতে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হলো মাজেদকে।