ছবি : মরহুম এবিএম ইয়াহিয়া (বাহার)
মিরর বাংলাদেশ : ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) দফতর সম্পাদক ও দৈনিক সংগ্রামের স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ জাফর ইকবালের বাবা এবিএম ইয়াহিয়ার (বাহার) ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার
২০১৬ সালের ২৭ মে শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টায় ফেনী জেলার দালিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের (কালিম উদ্দীন মুন্সিবাড়ি) নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ পুত্র ও ২ কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পরের দিন ২৮ মে বাদ জোহর নামাজে জানাযা শেষে পরিবারিক কবরস্থানে তার পিতা-মাতার কবরের পাশে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়।
মিরর বাংলাদেশ পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের জন্য দোয়া এবং আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন এ কামনা করা হয়।
ছবি : সাংবাদিক জাফর ইকবাল
বাবার মৃত্যু বার্ষিকতে ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল
নিচে ফেসবুক স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো।
আজ বাবাকে হারানোর চার বছর
আজ 28( আটাশে) মে। চার বছর আগের এই দিনে আমরা চিরকালের জন্য হারিয়েছিলাম বাবাকে। আজো মনে হয় না বাবা নেই। এখনও বাবার সেই নাম ধরে ডাকার শব্দটা কানে বাজছে। বাড়ীতে গেলে বা আম্মাকে ফোন করলে বাবার একটাই কথা। কবে বাড়ী যাবো। বাড়ী গেলে আসার সময় বলতেন আজ যাবার দরকার নেই। সারা জীবন আমাদের জন্য খুব কষ্ট করেছেন। বিশেষ করে লেখা পড়ার ব্যাপারে বাবা ছিলেন খুবই কঠোর। তার কঠিন শাসনের কারণেই হয়তো আমরা পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে চারজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচচ ডিগ্রি অর্জন করতে পেরেছি।
বাবা ছিলেন কঠিন পরিশ্রমী মানুষ। মৃত্যুর দিনেও নিজের কাজ নিজেই করেছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন। সততা ছিল বাবার মূল পুঁজি। ন্যায়কে ন্যায়ই বলতেন তিনি। যেটি সত্য সেটি মুখের উপর বলে ফেলতেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বেশির ভাগ সময় ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন বাবা। তবে তার আগে চট্টগ্রাম এ কে খান মিলস এবং বেশ কিছু সময় বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি করেছেন। স্বেচ্ছায় পুলিশ থেকে অবসর নিয়ে বাকি জীবন ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন।
আজ এমন সময়ে বাবার মৃত্যুবার্ষিকী পার হচ্ছে, যখন করোনাভাইরাসের কারণে গোটা দেশ অনেকটা থমকে আছে। বাবার কবরটিও জিয়ারত করতে পারছি না।
আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানাই। তিনি যেন আমার
বাবাকে জান্নাতুল ফিরদাউসের বাসিন্দা হিসাবে কবুল করেন। রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বা ইয়ানী ছাগিরা।
আমিন।