বিচারক বদলি ও আসামীর জামিনে প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন : বাংলাদেশ ন্যাপ

702

মিরর বাংলাদেশ : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’এর মামলায় ক্ষমতাসীন দলের সাবেক সংসদ সদস্য ও তার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুরের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বিচারকের তাৎক্ষণিক ওএসডিসহ বদলি এবং কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভারপ্রাপ্ত জজ কর্তৃক জামিন মঞ্জুরের ঘটনা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে দেশের আইনের শাসন ও বিচারব্যবস্থা’ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ বলেছেন, দেশের অধস্তন আদালতের বিচারিক ইতিহাসে বিরল ও অনৈতিক এই দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হওয়ায় দেশবাসী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সাবেক সংসদ সদস্য এবং তার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুরকে কেন্দ্র করে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিচারককে ওএসডি ও বদলি করে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা এবং কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভারপ্রাপ্ত জজ কর্তৃক জামিন মঞ্জুরের ঘটনা সরকারকে যেমন বিব্রত করেছে ঠিক তেমনি দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিমূলক গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতার এক ভয়াবহ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, এ ধরনের ঘটনা আদালতের ওপর নির্বাহী বিভাগ ও রাজনৈতিক প্রভাবের ব্যাপক বিস্তার, প্রভাবশালীদের হাতে আইনের শাসন জিম্মি হওয়া ও বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে ক্রমাগত বিকাশে তৎপর স্বার্থান্বেষী মহলকে আরো ক্ষমতাশালী, নিয়ন্ত্রনহীন ও উৎসাহিত করবে।

বিচারকের বদলি নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে নেতৃদ্বয় বলেন, চার ঘণ্টার মধ্যে জেলা জজকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা ও রিলিজ করে তার অধীনস্থ একজন যুগ্ম জেলা জজকে দায়িত্ব দেয়া সারা দেশে যারা জেলা জজ আছেন তাদের চিন্তার জগতে কি ধরনের প্রভাব ফেলত পারে ? যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেখানে কি এই ঘটনা একটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না? এটা কি সরকারকে বিব্রত করছে না? এতে করে কি আইনমন্ত্রীর অবস্থান ও নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে না?

তারা বলেন, এভাবে জামিন কেলেঙ্কারি দেশের সাধারণ জনগণের বিচার বিভাগের উপর আস্থা নষ্ট করেছে এবং বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যেহেতু, আইনমন্ত্রীর অদূরদর্শিতা ও অনৈতিকতার জন্য বিচারবিভাগের গায়ে এমন এক কালো দাগ পড়লো তাতে করে তার নিজেরই স্বপ্রনোদিত হয়ে পদত্যাগ করা উচিত।