ছবি : অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী মিয়া
ছবি : এম কে ইউরি বজ্রমুনি
মিরর বাংলাদেশ : বাংলাদেশ ব্যুত্থান ফেডারেশনের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্বগ্রহন করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী মিয়া। ডিসকভারি চ্যানেল খ্যাত সুপারহিউম্যান গ্র্যান্ডমাস্টার এম এ কে ইউরি বজ্রমুনি সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও ফের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার এক অনলাইন বার্তার মাধ্যমে তাদের দায়িত্বগ্রহনের সাথে সাথে ফেডারেশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যুত্থান এসোসিয়েশনের প্রেস সচিব কাওছার মাহমুদের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বর্তমান কমিটি আগামী ৪ বছর দায়িত্ব পালন করবে।
উল্লেখ্য, ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা গত ১ লা মার্চ ২০২০ এ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার, অ্যাডভোকেট জনাব মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি’র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় । তার সভাপতিত্বে এ সভায় মোট ১৪ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যুত্থান ফেডারেশনের পূর্ববর্তী কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সর্ব সম্মতিক্রমে মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী মিয়া নতুন সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন । সেই সাথে ২২ সদস্যের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়।
নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতি হিসেবে সর্ব সম্মতিক্রমে মনোনীত হন যথাক্রমে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব চৌধুরী মোঃ হামিদ আল মাহবুব, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আব্দুল বাতেন বিপিএম (সেবা), পিপিএম, যুক্তরাজ্যের লন্ডন ব্যাংক সিইও সাব্বির হোসেন সিকদার এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পূনর্নির্বাচিত হন গ্র্যান্ডমাস্টার এম এ কে ইউরি বজ্রমুনি।
উক্ত সভায় নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী মিয়া দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যভিত্তিক আত্মরক্ষামূলক ক্রীড়া ব্যুত্থানের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচার ও প্রসারে বিশ্ব রেকর্ডকারী সুপারহিউম্যান গ্র্যান্ডমাস্টার এম এ কে ইউরি বজ্রমুনির নিবেদিত প্রয়াসকে সাধুবাদ জানান। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) এর উদ্যোগী ভূমিকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়ামোদী, সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট পৃষ্ঠপোষকদের ব্যুত্থানকে, বাংলাদেশে প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান ডেপুটি স্পিকার।
‘ব্যুত্থান’ অর্থ ‘স্বতন্ত্রের সাথে প্রতিরোধ’ অথবা ‘উত্থান লাভ করা’, একটি বাংলাদেশি মার্শাল আর্ট এবং কমব্যাট স্পোর্টস। এটি ‘আত্মরক্ষা ও ব্যক্তিগত উন্নয়নের পদ্ধতিগত কলাকৌশল’। ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ ব্যুত্থান ফেডারেশনের। ২০১৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে সংগঠনটি। সম্প্রতি ব্যুত্থান ব্রুনাই দারুস সালামে জাতীয়ভাবে অনুশীলনকৃত ক্রীড়ায় অন্তর্ভুক্তি লাভ করে।