কূটনৈতিক পাসপোর্টে তার বৈধভাবে অবস্থানের মেয়াদও শেষ
মিরর বাংলাদেশ : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। সেখানে দুই মাস অতিবাহিত করেছেন। বাংলাদেশ সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করায় তিনি কোন স্ট্যাটাসে সেখানে অবস্থান করছেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শেখ হাসিনা কবে ভারত ছাড়ছেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা, কল্পনা। অনেকেই বলেছেন অচিরেই তিনি ভারতে ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশে যেতে পারেন।
শেখ হাসিনার পরবর্তী গন্তব্য কোথায়? এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে, শেখ হাসিনা কীভাবে, কোন ব্যবস্থায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন? জবাবে ভারত নাকি বলেছে, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে তিনি চলে যাবেন। এই খবর ঢাকার সরকারি মহলকেও জানানো হয়েছে। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পদত্যাগ করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে শেখ হাসিনা দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেন। এরপর থেকে তিনি কোথায় আছেন তা আর প্রকাশ পায়নি।
শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকা কূটনৈতিক পাসপোর্টও (লাল পাসপোর্ট) বাতিল করে দিয়েছে সরকার। এ ধরনের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ভারতে দেড় মাস বৈধভাবে থাকতে পারেন।
ইতোমধ্যে ভারতে শেখ হাসিনা ২ মাস অবস্থান করেছেন। কূটনৈতিক পাসপোর্টে তার বৈধভাবে অবস্থানের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এখন তিনি কোন স্ট্যাটাসে দেশটিতে অবস্থান করছেন তা পরিষ্কার নয়। ভারতের পক্ষ থেকেও বিষয়টি খোলাসা করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে তিনি ভারতের ঠিক কোন জায়গায় অবস্থান করছেন, অথবা তিনি সেখানে থাকবেন না তৃতীয় কোনো দেশে যাবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ভারতের পরীক্ষিত বন্ধু শেখ হাসিনা। টানা প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। তাই শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ও দেশত্যাগ ভারতের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে ভারতেই রয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন হলো সেখানে আর কতদিন থাকতে পারবেন তিনি।
জল্পনা উঠেছে অচিরেই ভারত ছাড়তে হবে শেখ হাসিনাকে। তবে ভারত ছেড়ে কোথায় যাবেন তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে, শেখ হাসিনা কীভাবে, কোন ব্যবস্থায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন? জবাবে ভারত নাকি বলেছে, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে তিনি চলে যাবেন। এমন খবর ঢাকার সরকারি একটি মহলকে জানানো হয়েছে। একাধিক সূত্র একটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে চলে যান। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে তিনি দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেন তারা। এরপর থেকে তিনি কোথায় আছেন তা আর জানা যায়নি।
শেখ হাসিনার দেশ ছাড়াও পর গঠন হয়েছে অন্তর্র্বতী সরকার। যার প্রধান করা হয়েছে নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূসকে। এরপর থেকে প্রায় দু মাস হয়ে গেছে। পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছু।
শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকা কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করে দিয়েছে সরকার। এ ধরনের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ভারতে ৪৫ দিন বৈধভাবে থাকতে পারেন। কিন্তু শেখ হাসিনা প্রায় দুই মাস ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। কূটনৈতিক পাসপোর্টে তার বৈধভাবে অবস্থানের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এখন তারা দেশটিতে কিভাবে অবস্থান করছেন তা পরিষ্কার নয়। *****