মিরর বাংলাদেশ :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক, ভাষাসৈনিক ও স্বাধীনতা পদকে (মরোণত্তর) ভূষিত মরহুম এ কে এম শামসুজ্জোহার ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার
এ কে এম শামসুজ্জোহা ছিলেন একাধারে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, গণপরিষদের সদস্য ও স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় সংসদ সদস্য। তার বাবা মরহুম খান সাহেব ওসমান আলীও ছিলেন একজন ভাষাসৈনিক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং সাবেক এমএনএ।
ঐতিহ্যবাহী এই পরিবারের আদি নিবাস নারায়ণগঞ্জের ‘বায়তুল আমান ভবন’ আজো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করা হয়েছিল।
মহান ভাষা আন্দোলনের সময় এই বায়তুল আমান ভবনে তৎকালীন পুলিশ প্রবেশ করে ওসমান পরিবারের সদস্যদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল। সর্বপ্রথম ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন তিনি।
মরহুম শামসুজ্জোহার সহধর্মিণী ও রতœগর্ভা নাগিনা জোহাও ছিলেন ভাষাসৈনিক। তার বড় ছেলে সাবেক এমপি মরহুম নাসিম ওসমান বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট নবপরিণীতা বধূকে রেখেই প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর শামসুজ্জোহাকে গ্রেফতার করা হয় এবং ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় ৪ নেতার হত্যাযজ্ঞের সময় তিনি ও শহীদ জাতীয় নেতা ক্যাপ্টেন মনসুর আলী একই সেলে বন্দী ছিলেন। শামসুজ্জোহা ছিলেন ওই কলঙ্কিত ইতিহাসের অন্যতম সাক্ষী।
মরহুম শামসুজ্জোহার মেজ ছেলে বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান এমপি ও ছোট ছেলে এ কে এম শামীম ওসমান এমপি একাধিকবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় শামসুজ্জোহাকে ২০১২ সালে স্বাধীনতা পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়।
দিনব্যাপী পবিত্র কোরআন খানি, শোক র্যালী, কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারতের পাশাপাশি মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে চাষাড়া হীরা মহলে বাদ আছর মরহুম একেএম সামসুজ্জোহা ও মরহুমা বেগম নাগিনা জোহার রুহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। মরহুমের মেঝ ছেলে সেলিম ওসমান এমপি ও ছোট ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা একেএম শামীম ওসমান এমপি সকলকে রুহের মাগফেরাত কামনায় চাষাড়াস্থ পৈত্তিক বাড়ী হীরা মহল ও পাশ্ববর্তী মসজিদে বাদ আছর আয়োজিত মিলাদ ও দোয়ায় অংশ গ্রহন করার আকুল আবেদন জানিয়েছেন।