ভোটের অধিকারের জন্য প্রতিটি জনগনকে রাস্তায় নামতে হবে : মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন

249

মিরর বাংলাদেশ :
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম আহমেদ বলেছেন, জনগনের সাথে এ সরকার প্রতারণা করছে, তারাই দুর্নীতির উৎস করছে। ভোটের অধিকারের জন্য প্রতিটি জনগনকে রাস্তায় নামতে হবে। আপনারা এ দেশ স্বাধীন করেছেন, আপনাদের রাস্তায় নামতে হবে। আজকে সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের নাম নেই। যারা পালিয়েছিল তাদের নাম আজকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়।
গতকাল সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহানগর বিএনপি কর্তৃক দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর হাফিজ বলেন, সমাবেশে অনেক তরুনকে দেখে আমি উচ্ছাসিত। আমরা তে কয়েক বছর ধরে বক্তব্য দিয়ে আসছি। বক্তব্য দিয়ে সরকারের পতন হবে না, দ্রব্যমূল্য কমানে যাবে না, সরকারের দুর্নীতি থামানো যাবে না। আমাদের সাথে জনগনকেও রাজপথে নামতে হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের শপথ নিতে হবে। আমরা মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। সেজন্যেই আমাদের আন্দোলন। বাড়ি গোপালগঞ্জ হলে কিংবা ছাত্রলীগরে সদস্য হলে চাকরি পাওয়া যায়। মেধাবী ছাত্ররা চাকরি পাচ্ছে না। হাসপাতালে চিকিৎসা নেই, আইসিইউ নেই তারা নাকি উন্নয়নের রোল মডেল। কথা দিয়েছিলেন দশ টাকা কেজি চাল, আজকে ৭০ টাকা কেজি।

তিনি বলেন, প্রথম ভেট চুরি হয় ডাকসুর নির্বাচনে। এতবছর পরেও সে দুঃশাসন শেষ হয়নি। জিয়া ছয় বছর ক্ষমতায় ছিলেন। তার মৃত্যুর পর দেশে কোথাও একটু জমিও ছিলনা, ব্যাংকো টাকাও ছিল না। আমরা সেই জিয়ার সৈনিক। আমাদেরও আত্মসমালোচনা করা উচিত কেন মানুষ রাস্তায় নামে না। সরকার পরিবর্তন যখন হয়, দুইবার মন্ত্রী ছিলাম দেশেই আছি। আমাদের পালাতে হয়নি। আজকে যদি একটা তত্বাবধায়ক সরকারের ঘোষণা আসে তাহলেই মন্ত্রীরা পালিয়ে যাবে। ভোটেরও দরকার হবে না।

তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন হল। নির্বাচনে বিএনপির একজন নেতা তৈমুর আলম খন্দকার অংশ নিয়েছিলেন। বিএনপির অত্যন্ত ত্যাগী নেতা তিনি। তাকে কেন বাদ দেয়া হল জানি না। আমি দলের অনেক ক্ষুদ্র একজন কর্মী। এ নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হয়েছেন কিন্তু ইভিএমে আপনারা তাকে পরাজিত করেছেন। সেদিন মিল কারখানা গুলো খুলে করে রাখা হয়েছিল যেন সেদিন মানুষগুলো ভোট দিতে না পারে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এস এম শৈবাল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ হমাএদ, সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, মহানগর যুবদলের সাবেক নেতা রানা মুজিব, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রহিমা শরীফ মায়া, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রুমা আক্তার, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি দিলারা মাসুদ ময়না, সাধারণ সম্পাদক আয়শা আক্তার দিনা, সাধারণ সম্পাদক মহানগর ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ সৌরভ, সদর থানা ছাত্রদলের সভাপতি কাজী নাহিসুল ইসলাম সাদ্দাম প্রমুখ